রোহিঙ্গাদের উপেক্ষার অভিযোগ, টুইটার প্রধানের আত্মপক্ষ সমর্থন

নিজের জন্মদিন পালন করতে মিয়ানমারে দশ দিনের ধ্যান চর্চায় গিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের শীর্ষ কর্মকর্তা জ্যাক ডর্সি। গত ৯ ডিসেম্বর টুইটারে এক পোস্টে নিজের ধ্যান চর্চার কথা জানিয়ে মিয়ানমারকে সত্যিকার সুন্দর দেশ বলে বর্ণনা করে অন্যদেরও দেশটি ভ্রমণের আহ্বান জানান তিনি।  রোহিঙ্গা নির্যাতনের কারণে সমালোচনার মুখে থাকা দেশটির প্রশংসা করায় তার অবস্থান নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। পরে বাধ্য হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন টুইটারের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ডর্সি।টুইটারের শীর্ষ কর্মকর্তা জ্যাক ডর্সি

গত বছর পুলিশে চেকপোস্টে বিদ্রোহীদের হামলার পর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের মুখে প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। নিজের জন্মদিন উদযাপন করতে সেই মিয়ানমারে একটি ধ্যানে অংশ নেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডর্সি। সমালোচনা শুরুর পর আত্মপক্ষ সমর্থন করে ডর্সি লিখেছেন, এই বিষয়ে আমি যথেষ্ট জানি না আর আরও অনেক কিছু জানার দরকার রয়েছে।

মিয়ানমারের মানবাধিকার সহিংসতার বিষয়ে সচেতন রয়েছেন বলে জানা ডর্সি। ওই সফর একান্তই ব্যক্তিগত ছিল বলে মন্তব্য করেন টুইটারের সহ প্রতিষ্ঠাতা। ভিপাসানা নামে পরিচিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি ধ্যানে অংশ নেন ডর্সি। এই ধ্যান চর্চার মাধ্যমে চর্চাকারী নিজের আধ্যাত্মিক উন্নয়ন ঘটাতে পারেন। ডর্সি বলেন, এই সফরে তার লক্ষ্যই ছিলো নিজের ধ্যান চর্চা।

ডর্সি বলেন, মিয়ানমার সংকটে সামাজিক যোগাযোগের এই কোম্পানিটির ভূমিকা নিয়ে টুইটার ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তিনি।  জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা, অন্য মানুষ ও সম্প্রদায়ের দুর্ভোগ বর্ণনার উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে টুইটার। তিনি বলেন, উদ্ভূত ইস্যুটি সামনে আনতে আমরা কার্যকরভাবে কাজ করছি।