কাশ্মিরে বেসামরিক হত্যার বিচার চায় এইচআরডব্লিউ

কাশ্মিরে নিরাপত্তা অভিযানে বেসামরিক নিহতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। অভিযান চালাতে গিয়ে বেসামরিকদের উপস্থিতির কথা জেনেও ভারতীয় বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বশীল আচরণ করে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি। অফিসিয়াল টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দোষীদের বিচারের আওতায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক
২০১৬ সালের ৮ জুলাই বন্দুকযুদ্ধের নামে কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী তরুণ হিজবুল কমান্ডার বুরহান মুজাফফর ওয়ানিকে হত্যা করে ভারতীয় সেনারা। ওই হত্যাকাণ্ডের পর কাশ্মিরের জনগণ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে। এ হত্যাকাণ্ডের জেরে নারী ও শিশুসহ শতাধিক মানুষ নিহত ও ১২ হাজার মানুষ আহত হন। নিরাপত্তা বাহিনীর ছররা গুলির আঘাতে চোখ হারান শত শত মানুষ। ওই সময় থেকেই সোফিয়ান,পুলওয়ামা ও অনন্তনাগ এলাকা স্বাধীনতাকামীদের শক্ত ঘাঁটি হয়ে উঠে। কাশ্মিরে বিদ্রোহীদের সমর্থনে তরুণদের রাজপথে নামার প্রবণতা দিনকে দিন বাড়ছে। নিরাপত্তা অভিযানের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহী হত্যার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোতে অতীতের তুলনায় প্রতিবাদ জোরালো হতে দেখা গেছে। তাছাড়া স্থানীয় নিরস্ত্র বাসিন্দাদেরকে দেখা গেছে বিদ্রোহীদের আশ্রয় দিতে। একই সময়ে সেখানে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযান ক্রমাগত জোরদার হয়েছে। নিরাপত্তা অভিযানের নামে সেখানে প্রায়ই ঘটছে বেসামরিক হত্যার ঘটনা।

এইচআরডব্লিউ-এর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি এক টুইটার পোস্টে ভারতীয় বাহিনীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, বন্দুকযুদ্ধের সময় গ্রামবাসী যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করবে, নিরাপত্তা বাহিনী তো সেটা জানেই। বেসামরিক হত্যায় ভারত সরকারের পদক্ষেপ দাবি করে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষের উচিত, নির্বিচার ক্ষমতা ব্যবহারকারীদের তদন্ত ও বিচারের মুখোমুখি করা। বেসামরিকরা যেন ঝুঁকির সন্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করাটা নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব।’