আইএসে যোগ দিতে থেরেসা মে’কে হত্যার চেষ্টা করে ব্রিটিশ-পাকিস্তানি নাগরিক

ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়ার জন্যই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে হত্যার চেষ্টা করেছিল এক ব্রিটিশ-পাকিস্তানি নাগরিক আকিব ইমরান। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

may20171206121656গত বছর হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে ২২ বছর বয়সী মোহাম্মদ আকিব ইমরান ও ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাইমুর রহমানকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। নাইমুর রহমানকে ইতোমধ্যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইমরানকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দণ্ডিত করা না হলেও পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত দুজনের মাঝে দুইবার দেখা হয়েছিল।

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অ্যালেক্সিস বুন বলেন, ‘তাদের পরিকল্পনা ছিল রহমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করবে এবং ইমরান তা ভিডিওতে ধারণ করবে। পরে সেটা পাঠিয়ে তারা আইএসের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করবে।’

বুন বলেন, এটা কখনোই হতো না কারণ তাদের ওপর বেশ কিছুদিন ধরেই কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও এমআই-৫ নজর রাখছিল। তিনি বলেন, এই রায়ে আমরা খুশি। আমাদের তদন্তের মাধ্যমেই ইমরানকে আইএসে যোগদান থেকে বাধা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

গত বছর গোপন অভিযানে থাকা ছদ্মবেশী পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর ২৮ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব বার্মিংহামে অভিযান চালিয়ে নাইমুরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় নাইমুর রহমানের কাছে দুটি ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) পাওয়া যায়। এই বিস্ফোরক যন্ত্র যা অল্প সময়ে সহজে তৈরি করা যায়।  একইসঙ্গে পৃথক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনায় মোহাম্মদ আকিব ইমরান নামের আরেক ব্যক্তিকে সহায়তার অভিযোগও আনা হয় তার বিরুদ্ধে। তারা ইমরানের মোবাইল ও কিন্ডেল রিডার জব্দ করে। বিশেষজ্ঞরা সেগুলো অনুসন্ধান করে সন্ত্রাসবাদী বই খুঁজে পান।

চলতি বছর জুলাইয়ে ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। নাইমুর জাকারিয়া রহমান নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে থেরেসা মে’র মাথা শরীর থেকে আলাদা করে ফেলার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় যুক্তরাজ্যের একটি আদালত।