২০১৯ সাল ব্রেক্সিট পরবর্তী যুক্তরাজ্যে জন্য ‘নতুন এক অধ্যায়’: থেরেসা মে

নতুন বছরে দেশবাসীকে শুভেচ্ছার সময়ও বেক্সিট প্রসঙ্গে কথা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি বলেন, ২০১৯ সাল যুক্তরাজ্যের জন্য নতুন এক অধ্যায় হবে। থেরেসা মে বলেন, ব্রিটিশ জনগণের ভোট নিয়ে আমি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। সামনের সপ্তাহগুলোতে এমপিরা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন। ব্রেক্সিটচুক্তিকে পার্লামেন্ট সমর্থন করলে ব্রিটেন এগিয়ে যাবে।

71eef5cd3fd122165f09fbfcb8455c14-5c25f557a4d2d

 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে গণভোটে রায় হয়েছে। তবে ২০১৯ সালে আমাদের সব পার্থক্য ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে বিশ্বে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার সুযোগ রয়েছে।

 

জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, আমাদের শুধুমাত্র ব্রেক্সিট নিয়ে ভাবলে হবে না। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে আমাদের। দক্ষতার ভিত্তিতে নতুন অভিবাসন ব্যবস্থার প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, এতে করে সারাবিশ্বের অভিবাসীদের আসার সমান সুযোগ তৈরি হয়েছে।

 

থেরেসা মে বলেন, ‘আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সবই আছে। ২০১৯ সালে সবাই একসঙ্গে থাকলে সাফল্য আসবেই। আমরা এমন একটি দেশ গড়বো যেখানো সবাই মানুষের জন্য কাজ করবে।

 

অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের নববর্ষের শুভেচ্ছার অনেক বড় অংশজুড়ে ছিলো ব্রেক্সিট।  বিরোধী দলীয় নেতা লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন তার শুভেচ্ছায় থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কনজারভেটিভ পার্টি সরকার ব্রেক্সিট নিয়ে পুরো দেশের মধ্যে জট পাকিয়ে ফেলেছে। একটি বাজে চুক্তির মাধ্যমে জনগণকে বিপদে ফেলতে যাচ্ছে।

 

তিনি জানান, লেবার পার্টি এর চেয়ে যৌক্তিক বিকল্প দিতে প্রস্তুত আছে। দেশের সংস্কারের মাধ্যমে তারা পরিবর্তন আনবেন।

 

লিবারের ডেমোক্রেট নেতা ভিন্স কেবলের বক্তব্যেও ছিলো ব্রেক্সিট প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, দ্বিতীয় গণভোট খুবই নিকটবর্তী। ব্রিটিশ জনগণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তার ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারগন বলেন, ইউরোপে স্কটল্যান্ডের অবস্থান ধরে রাখতে কাজ করবে তার সরকার।  স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা বলেন, এর আগে কখনোই তার দেশ এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি। তাই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

২০১৯ সালের মার্চে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার কথা যুক্তরাজ্যের। তবে এর আগে পার্লামেন্টের সমর্থন প্রয়োজন। সেই বিষয়ে থেরেসা মে একটি বিল উত্থাপন করেছেন এবং হাউজ অব কমন্সে সমর্থন চাইছেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি এই বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।