জবরদস্তিমূলক বিয়ে ঠেকানোর নীতি নিয়ে সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ সরকার

বিভিন্ন দেশে নিয়ে জবরদস্তিমূলক বিয়েতে বাধ্য করা ব্রিটিশ নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে যুক্তরাজ্য। প্লেনের টিকিট, খাবার ও আশ্রয়ের নামে এসব অর্থ আদায় করা হয় আক্রান্তদের কাছ থেকে। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদপাত্র দ্য টাইমসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উন্মোচিত হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়েছে ব্রিটেন সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতি। সর্বোচ্চ সহানুভূতি ও মানবিক দিক থেকে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।noname
যুক্তরাজ্য সরকারের জবরদস্তিমূলক বিয়ে ইউনিটের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ব্রিটিশ নাগরিকেরা সবচেয়ে বেশি জবরদস্তিমূলক বিয়ের শিকার হন পাকিস্তানে। এরপরই বাংলাদেশের অবস্থান। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে এধরণের ১২৯ জন নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করেছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দফতর। উদ্ধারকৃত এসব ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে নিতে তাদের কাছ থেকেই আদায় করা হয়েছে প্লেনের টিকেট, খাবার ও আবাসনের খরচ।

তথ্য স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে করা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে জানানো হয়, উদ্ধারকৃতদের বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে তারা সরকারের কাছ থেকে জরুরি ঋণ নিতে পারে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি জান্ট বলেছেন, তিনি এই ইস্যুর ‘শেষ পর্যন্ত’ যাবেন যাতে তার দফতর সহানুভূতি ও মানবিকভাবে কাজ করছে তা নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে আমি আমার কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যথাযথ পরামর্শ চেয়েছি।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের কাউকে বিয়ে করতে জোর করা আইনিভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে ২০১৪ সালে।  এই অপরাধে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এই আইনে এখন পর্যন্ত দুটি মামলার রায় হয়েছে। এরমধ্যে এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দম্পত্তি তাদের মেয়েকে বাংলাদেশে নিয়ে জোর করে বিয়ে দিতে চাওয়ায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মোট আট বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। অপর মামলায় পকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক নারীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি তার মেয়েকে তার চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি বয়সী এক আত্মীয়কে বিয়ে করতে জোর করেছিলেন।