এবার পেন্টাগনের চিফ অব স্টাফ কেভিন সুইনির পদত্যাগ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরের (পেন্টাগন) চিফ অব স্টাফ কেভিন সুইনি পদত্যাগ করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জিম ম্যাটিসের পদত্যাগের ঘোষণার এক মাসের মাথায় পদ ছাড়লেন সুইনি। এক বিবৃতিতে সুইনি বলেছেন, ‘বেসরকারি খাতে ফিরে যাওয়ার এখনই সঠিক সময়।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর এ নিয়ে তৃতীয় কোনও উচ্চ পদস্থ পেন্টাগন কর্মকর্তা পদত্যাগ করলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।

কেভিন সুইনি
২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর সিরিয়া থেকে মার্কিন বাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমরা সিরিয়ায় আইএস-কে পরাজিত করেছি। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে শুধু আইএস-কে হটানোর জন্যই তাদের সেখানে (সিরিয়া) রাখা হয়েছিল।’ ম্পের সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অনেকে। সবচেয়ে আলোচিত নাম পদত্যাগী প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আফগানিস্তান ও সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের মতো কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মতভেদের জেরে তিনি পদত্যাগ করেন। সিরিয়া থেকে আকস্মিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর পদত্যাগ করেন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ডানা হোয়াইটও। আর শনিবার (৫ জানুয়ারি) পদত্যাগের ঘোষণা দেন পেন্টাগনের চিফ অব স্টাফ কেভিন সুইনি।

২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে সুইনি পেন্টাগনের চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। শনিবার জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি তার সহকর্মীদের কথা লিখেছেন। বলেছেন, এসব সহকর্মীর সঙ্গে কাজ করতে পারাটা তার জন্য সম্মানের। তবে পদত্যাগপত্রে ট্রাম্পের কথা উল্লেখ করেননি তিনি।

এর আগে গত ডিসেম্বরে ট্রাম্পকে লেখা পদত্যাগপত্রে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাটিস নিজের দৃষ্টিভঙ্গির কথা লিখেছিলেন। বলেছিলেন, তিনি ‘মিত্রদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ’ এবং সাধারণের প্রতিরক্ষায় মার্কিন ক্ষমতার সবগুলো হাতিয়ার ব্যবহারের পক্ষপাতী। ট্রাম্পকে ম্যাটিস আরও লিখেছিলেন,‘এসব বিষয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যার দৃষ্টিভঙ্গি আপনার সঙ্গে বেশি ভালো মিলবে সেরকম একজন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাওয়াটা আপনার অধিকার। আমি বিশ্বাস করি,আমার সরে যাওয়া উচিত।’