আস্থা ভোটে জিতলেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস। বুধবার ৩০০ আসনের পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত আস্থাভোটে ১৫১ জন এমপি’র সমর্থন নিশ্চিত করতে সক্ষম হন তিনি। এর ফলে আগাম নির্বাচন এড়াতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে প্রতিবেশী দেশ মেসিডোনিয়া’র নতুন নামকরণ নিয়ে উদ্ভূত রাজনৈতিক বিতর্কে নিজের অবস্থান সংহত করলেন তিনি।
প্রতিবেশী দেশ মেসিডোনিয়ার নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে বিতর্কের জেরে ক্ষমতাসীন জোটসঙ্গী পদত্যাগ করলে পার্লামেন্টে এ আস্থা ভোটের মুখে পড়েন অ্যালেক্সিস সিপ্রাস।
নাম পরিবর্তনের এই পদক্ষেপের ফলে ইউরোপের আরেক দেশ গ্রিসের সঙ্গে মেসিডোনিয়ার ২৭ বছর ধরে টানাপড়েন চলছে। সাবেক যুগোস্লাভিয়া ভেঙ্গে যখন মেসিডোনিয়া আলাদা রাষ্ট্র হয়, তখন থেকেই নাম নিয়ে তাদের সঙ্গে গ্রিসের তীব্র বিরোধ চলছে। সম্প্রতি মেসিডোনিয়ার নাম পরিবর্তন করে গণপ্রজাতন্ত্রী উত্তর মেসিডোনিয়া করায় অনুমোদন দেয় দেশটির পার্লামেন্ট। গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় একটি রাজ্যের নাম মেসিডোনিয়া হওয়ায় দেশ হিসেবে মেসিডোনিয়ার নাম নিয়ে আপত্তি ছিল তাদের। বিরোধ মীমাংসায় দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, উত্তর মেসিডোনিয়ার সঙ্গে প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে তা মানতে নারাজ গ্রিক প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাসের জোটসঙ্গী ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রিক পার্টি।
রবিবার সিপ্রাস বলেছেন, যদি ক্ষমতাসীন জোট থেকে ডানপন্থী ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রিক পার্টির প্রধান প্যানোস ক্যামেনোস সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন তাহলে মেসিডোনিয়া চুক্তি পার্লামেন্টে উপস্থাপনের আগে তিনি আস্থা ভোটের ডাক দেবেন। সে অনুযায়ী, বুধবার আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।