যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি স্থগিতের জবাব দিলেন পুতিন

যুক্তরাষ্ট্র রুশ-মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিলের হুমকি দেওয়ার একদিনের মাথায় পাল্টা অবস্থান ঘোষণা করলো রাশিয়া। একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে কেন্দ্র করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর শুক্রবার চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার ঘোষণা দেয়। শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেন। নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করতে রুশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।   
noname

একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে কারণ দেখিয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ৬ মাসের জন্য চুক্তির শর্ত মানার বাধ্যবাধকতা স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক ঘোষণায় বলেন, মস্কো কয়েক বছর ধরে এই চুক্তি লংঘন করছে এবং তারা এটি করা বন্ধ না করলে ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিটি থেকে সরে যাবে। তার ওই ঘোষণার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে (টেলিভিশনে সম্প্রচারিত) পুতিন বলেন, “মার্কিন অংশীদাররা চুক্তিতে তাদের অংশগ্রহণ স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে, আমরাও এটি স্থগিত করলাম।”

১৯৮৭ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) চুক্তি হয়েছিল। এর ফলে উভয়পক্ষকেই ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউরোপ থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল। মস্কো ও ওয়াশিংটন যেন নতুন করে ইউরোপে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন না করতে পারে, চুক্তিতে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞাও ছিল।  

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ভ্লাদিমির পুতিন ওই চুক্তি স্থগিতের পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো আলোচনা শুরু না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন ।

বিরোধপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক এখন একেবারেই তলানিতে  ঠেকেছে। এইউক্রেইন থেকে ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে রাশিয়ার নিজ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপের কথিত অভিযোগ এবং ব্রিটেনে একটি নার্ভ গ্যাসের আক্রমণের সঙ্গে রাশিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধারাবাহিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন সময়ে  ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি নিয়ে রুশ-মার্কিন মতবিরোধ দেখা দিল।