স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার প্রবণতাসম্পন্ন বিদেশিদের ধরতেই ২০১৫ সালে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতর। তাদের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পরিচয় গোপন করে ফার্মিংটন নামের ভুয়া একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে থাকেন। সম্প্রতি সেখানে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের মাঝে অভিযান চালিয়ে ১২৯ জন ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের ঘটনায়শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে দিল্লি কর্তৃপক্ষ। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। মার্কিন প্রসিকিউটরদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ সে কথা জেনেই সেখানে ভর্তি হয়েছে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের দাবি, শিক্ষার্থীদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণাকারীদের মতো আচরণ করা ঠিক নয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র দফতর দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাস বরাবর একটি ‘প্রতিবাদ পত্র’ পাঠায়। ওই প্রতিবাদ পত্রে ১২৯ ভারতীয় শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ জানানো হয়। দাবি করা হয়, আটককৃতদেরকে কনস্যুলার সুবিধা দেওয়ার।
পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘আটককৃত শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও কল্যাণ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আটককৃতদের কাছে যাওয়ার জন্য ভারতীয় কর্মকর্তাদেরকে অবিলম্বে কনস্যুলার সুবিধা দেওয়ার দাবি পুনর্বার উচ্চারণ করছি।’
প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, ‘ঘটনার বিস্তারিত ও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত তথ্যগুলো সরকারকে জানানো, যতো দ্রুত সম্ভব তাদেরকে বন্দিদশা থেকে মুক্তিপ্রদান এবং তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বিতাড়নের পথ অবলম্বন না করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’
ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দিল্লির প্রতিবাদপত্র পাওয়ার কথা নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ যে প্রথমবারের মতো এ ধরনের অভিযান চালিয়েছে তা নয়। নিউ জার্সিতে ভুয়া নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর ২০১৬ সালে সেখান থেকে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই স্কিমের আওতায় থাকা বিদেশি নাগরিকদের বেশিরভাগই ছিলেন চীন ও ভারতের।