ট্রাম্পের চাপে নতিস্বীকার দক্ষিণ কোরিয়ার, আরও অর্থ দিতে সম্মতি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির মুখে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও অর্থ দিতে রাজি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের জন্য এই বাড়তি অর্থ দেবে সিউল। রবিবার এ সংক্রান্ত একটি স্বল্পমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

US army soldiers

দীর্ঘদিন থেকেই মার্কিন সেনা উপস্থিতি ধরে রাখতে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে বাড়তি অর্থ দাবি করে আসছেন ট্রাম্প। তবে দুই দেশের নতুন চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধের কথা বলা হলেও এটি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। কেননা, চুক্তিটি কার্যকরের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার অন্য চুক্তিগুলোর মেয়াদ সচরাচর পাঁচ বছর হলেও এ চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে মাত্র এক বছর। ফলে একে স্বল্পমেয়াদি চুক্তি বলা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিয়াং হোয়া বলেন, এটি একটি দীর্ঘ ও খুবই সফল প্রক্রিয়া।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ চুক্তি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। এছাড়া চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারকে পার্লামেন্টের শরণাপন্ন হতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিয়াং হোয়াও বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক ফল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

এমন সময়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো যখন ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দ্বিতীয় দফার বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে বৈঠকের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ও ভেন্যু নির্ধারণের খবর জানান ট্রাম্প। আগামী ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই নেতার মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।