শান্তিরক্ষা মিশনে নারী উপস্থিতি বাড়াতে পদক্ষেপের তাগিদ বাংলাদেশের

 

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে নারীদের উপস্থিতি বাড়াতে নেওয়া পদক্ষেপ দিগুণেরও বেশি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ। শান্তিরক্ষা মিশন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ কমিটির এক বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী দূত মাসুদ বিন মোমেন এই তাগিদ দিয়েছেন। মিশনে অংশ নেওয়া নারীদের উৎসাহ দিয়ে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আরও নারী উপস্থিতি বাড়ানো যেতে পারে। শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরতদের যেকোনও যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান পুর্নব্যক্ত করেন তিনি।শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত নারী সেনা সদস্য

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা সরবরাহকারী শীর্ষ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। দেশটি ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারীদের পাঠায়। আর ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো তারা হাইতিতে নারীদের একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিরক্ষা ইউনিট পাঠায়। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে শান্তিরক্ষা মিশন বিষয়ক জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব জেন পিয়ার্স ল্যাকরোয়িক্স বলেছেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে যতবেশি নারী পাওয়া যাবে তত ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে’। এরপরেই নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ দিলো বাংলাদেশ।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘নারীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে নারীদের উপস্থিতি বাড়ানো যেতে পারে।’

বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত মিশনগুলোতে কর্মরত শান্তিরক্ষকদের বিরুদ্ধে নারীদের যৌণ হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার মধ্যেই মিশনগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ দিলো বাংলাদেশ। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী দূত বলেন, শান্তিরক্ষকদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে মহাসচিবের জিরো টলারেন্স নীতিকে জোরালোভাবে সমর্থন করে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘শান্তিরক্ষকদের মাধ্যমে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধ ও তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিশ্বনেতাদের একজন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’।  মাসুদ বিন মোমেন জানান, তার দেশের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম স্থম্ভ হলো শান্তিরক্ষা।

২০১৫ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী সদস্য সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়ানোর তাগিদ দেয়। আর ওই বছরেই জাতিসংঘের সেনাবাহিনী বিষয়ক কার্যালয় ২০১৮ সালের মধ্যে শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে ১৫ শতাংশ নারী সেনা সদস্য ও স্টাফ অফিসার নিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।