বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে চীন-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা শুরু

বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনৈতিক শক্তির বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে বেইজিংয়ে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আলাচনা শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার মার্কিন বাণিজ্য দূত রবার্ট লিথজিয়ার ও মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন ম্নুচিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বেইজিংয়ে আলোচনা ফলপ্রসু হলে চীনা পণ্যে নতুন কর আরোপের সময়সীমা আবারও বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।বেইজিংয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের আলোচনা শুক্রবার শেষ হবে
বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় অন্যায্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি ও মেধাসত্ব চুরির অভিযোগে চীনা পণ্যের ওপর কর আরোপ করে ওয়াশিংটন। গত বছরের জুলাইতে ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং আরও ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের তরফ থেকে এসব পদক্ষেপের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শুরু হয় উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ।

সম্প্রতি বেইজিংয়ের ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের পণ্যে করের পরিমাণ দশ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের বাণিজ্য কৌশলে ওয়াশিংটনের চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তনে সম্মত না হলে আগামী ১ মার্চ থেকে এই কর কার্যকরের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি তিনি বলেছেন, বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা ফলপ্রসু হলে ওই সময়সীমা বাড়াতে রাজি আছেন তিনি। বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, চীন তাদেরকে আলোচনার ক্ষেত্রে সম্মান দেখাচ্ছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের অপেক্ষাকৃত নিচু সারির কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রায়োগিক দরকষাকষি দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। শুক্রবার চীন-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন কর আরোপের পাল্টা পদক্ষেপ নিলেও চীনের রফতানিমুখী অর্থনীতিতে ধ্বস নেমেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সর্বাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানোর চাপে রয়েছে বেইজিং। চীনের তরফ থেকে আরও বেশি মার্কিন পণ্য আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন কর আরোপের প্রভাব প্রতিরোধে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে গভীর পরিবর্তন আনছে দেশটি।