জওয়ান-জঙ্গি সবার ঘরেই একই যন্ত্রণা, দায় রাজনীতিকদের: কাশ্মির ‘হামলাকারী’র বাবা

কাশ্মির পরিস্থিতির জন্য সরাসরি রাজনীতিবিদদের দায়ী করেছেন পুলওয়ামা হামলার ‘মূল হোতা’ আদিলের বাবা গুলাম হোসেন দার। ভিন্ন ভিন্ন সংবাদমাধ্যম তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়েই জঙ্গি হয়ে উঠেছিল তার ছেলে। আদিলের বাবা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, আলোচনার পথে সমাধান না খুঁজে সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর নিপীড়ন চালানোর কারণেই তরুণরা  ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। তার দাবি, নেতারাই তরুণদের জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
noname

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পুলওয়ামাতে আরডিএক্স বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স’র গাড়ি বহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে বহরের ৭০টি গাড়ির মধ্যে একটি বাস সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায়। প্রাণ হারায় বাহিনীর অন্তত ৪৪ সদস্য। হামলার পর জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ ঘটনার দায় স্বীকার করে দেওয়া বিবৃতিতে জানায়, তাদের হয়ে পুলওয়ামারই বাসিন্দা আদিল আহমেদ দার ওই হামলা চালিয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স আদিলের বারা গুলাম হোসেনকে উদ্ধৃত করে জানায়, হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যু-পরবর্তী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে পাথর ছোড়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর হাতে মার খেয়েছিল আদিল আহমেদ দার। তারপরই সেনাবাহিনীর প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মায় তার। ‘ আজ জওয়ানদের ঘরে যে যন্ত্রণা, আমার ঘরেও আমরা সেই একই যন্ত্রণা ভোগ করছি।’ বলেছেন আত্মঘাতী আদিলের বাবা গুলাম হোসেন দার। জি নিউজ তাকে এবং আদিলের মা ফাহমিদাকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ২০১৬ সালে বন্ধুদের সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল আদিল। সেসময় আচমকা সেনাবাহিনী আদিল এবং তার বন্ধুদের আটক করে অপমান এবং মারধর করে সেনাবাহিনীর উপর পাথর ছোড়ার অভিযোগে।

ছেলের মৃত্যু এবং কাশ্মীরের এই পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিকদের দায়ী করেছেন গুলাম হাসান। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিকে তিনি বলেছেন, ‘‌ওঁদের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত ছিল। যুবকদের সন্ত্রাসবাদের দিকে ওনারাই ঠেলে দিচ্ছেন। আর সাধারম মানুষের ছেলেরা মরছে, তা জওয়ানদের পরিবারই হোক বা আমাদের।’‌ তিনি বলেন, ‘‌আমরাও পুলওয়ামার ঘটনায় সেভাবেই শোকগ্রস্ত যেভাবে জওয়ানদের পরিবারগুলি। কিন্তু সেদিনের ঘটনাই সেনাবাহিনীর প্রতি মন বিষিয়ে দিয়েছিল আদিলের।’