পুলাওয়ামা হামলার কথা আগেই জানতো কেন্দ্রীয় সরকার: মমতা

কাশ্মিরে পুলাওয়ামা হামলার কথা সরকার আগে থেকেই জানতো বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও কেন সরকার ব্যবস্থা নিলো না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

Mamata-Banerjee

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পুলওয়ামাতে আরডিএক্স বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স’র গাড়ি বহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে বহরের ৭০টি গাড়ির মধ্যে একটি বাস সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায়। প্রাণ হারায় বাহিনীর অন্তত ৪৪ সদস্য। হামলার পর জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ ঘটনার দায় স্বীকার করে দেওয়া বিবৃতিতে জানায়,তাদের হয়ে পুলওয়ামারই বাসিন্দা আদিল আহমেদ দার ওই হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে কাশ্মির পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত রয়েছে। এর মধ্যেই সোমবার নতুন করে নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।

এই ঘটনায় মোদি সরকারের সমালোচনা করে মমতা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কেন গোয়েন্দা তথ্যকে উপেক্ষা করে সিআরপিএফ বহরকে যেতে দিলো।তিনি প্রশ্ন তোলেন,‘এত বছর কেন তারা কোনও ব্যবস্থা নিলো না। নির্বাচন যখন একদমই সামনে চলে এসেছে তখন কেন এই ছায়াযুদ্ধের শুরু?

মমতা ব্যানার্জি বলেন, তিনি তার রাজ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশেকে কঠোর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জনগণকে আহ্বান জানান তারা যেন কোনও সমাজ-বিরোধী ভাবধারায় প্ররোচিত না হন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মোদি ও অমিত শাহ বক্তব্য দিয়ে জাহির করতে চাইছেন যে শুধু তারাই দেশপ্রেমিক। বাকিরা নন। এটা সত্য নয়। বিজেপি, আরএসএস, ভিএইচপি সবাই আসলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে। আমি গত পাঁচদিন চুপি ছিলাম। কিন্তু্ এখন মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি। কারণ আমি দেখিছিল সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে।’

মমতা বলেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারি সরকারের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো যে এমন হামলা হতে পারে। তারপরও সেখানে কেন ৭৮ সেনাকে পাঠানো হলো। আমি এমনও শুনেছি যে আমার ফোন সবসময়ই রেকর্ড করা হচ্ছে।’

এদিকে পুলওয়ামাতে আত্মঘাতী হামলার রেশ না কাটতেই সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গুলিতে নতুন করে চার ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মেজরও আছেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে পিংলান এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি চালায় 'জঙ্গি'রা। নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা অভিযানে নিহত হয়েছে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আশ্রয়দাতাও। সবমিলে এখন পর্যন্ত সাতজনের প্রাণহানির খবর জানিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।