১৫৭ আরোহী নিয়ে ইথিওপীয় বিমান বিধ্বস্ত

১৫৭ জন আরোহী নিয়ে আদ্দিস আবাবা থেকে নাইরোবি যাওয়ার পথে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (১০ মার্চ) সকাল পৌনে নয়টার দিকে আদ্দিস আবাবার ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বিশোফটু শহরের কাছে ফ্লাইট ইটি ৩০২ বিধ্বস্ত হয়। এটি বোয়িং ৭৩৭-৮০ ম্যাক্স বিমান ছিল। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারলাইন্স কোম্পানিটির এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।

আদ্দিস আবাবা থেকে বিমানটি নাইরোবির উদ্দেশে যাত্রা করেছিল

স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটের দিকে আদ্দিস আবাবার বোলে বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে ফ্লাইটটি। এর কয়েক মিনিট পরই (৮ টা ৪৪ মিনিট) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। 

আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিমানটিতে ১৪৯ জন যাত্রী ও আটজন কেবিন ক্রু ছিলেন। আদ্দিস আবাবা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এক বিবৃতিতে ইথিওপীয় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইথিওপীয় এয়ারলাইন্সের কর্মীদেরকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে এবং জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে সাধ্যমতো সব কিছু করা হবে।’

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের কার্যালয় থেকে এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে একটি টুইট করা হয়েছে।

আফ্রিকার অনেকগুলো এলাকায় ইথিওপীয় এয়ারলাইন্সের বিমানগুলো যাতায়াত করে থাকে। বিবিসির ভাষ্য অনুযায়ী, আফ্রিকা মহাদেশে এ এয়ারলাইন্সের বিমান বেশ জনপ্রিয়। নিরাপত্তার দিক থেকে এগুলোর বেশ ভালো সুনাম রয়েছে। অবশ্য, ২০১০ সালে কোম্পানিটির একটি বিমান বৈরুত থেকে যাত্রা করার পর পরই ভূমধ্যসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই ঘটনায় বিমানের ৯০ আরোহীর প্রাণহানি হয়।

এর আগে ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে আদ্দিস আবাবা থেকে নাইরোবি যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছির ইথিওপীয় এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। ওই বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপরও বিমানটি জরুরিভাবে পানিতে অবতরণের প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন পাইলট। তবে শেষ পর্যন্ত বিমানটি ভারত মহাসাগরে একটি প্রবাল প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বিমানে থাকা ১৭৫ আরোহীর মধ্যে ১২৩ জন প্রাণ হারায়।