‘সাহসী নারী’র পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে দেওয়া ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’র পুরস্কারের জন্য মালয়েশিয়ার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন রোহিঙ্গা নারী শরিফা শাকিরা। মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গা নারীদের জীবন-মান উন্নয়নে কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়েছে।

শরিফা শাকিরা
শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লৈঙ্গিক সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বজুড়ে কাজ করা নারীদেরকে সাহসিকতা ও নেতৃত্বের স্বীকৃতি দিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার প্রদান করে থাকে। ২০০৭ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিৎসা রাইস এ পুরস্কার চালু করেছিলেন। এ বছর মালয়েশিয়ায় বসবাসরত রোহিঙ্গা নারী শরিফা শাকিরাকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি থেকে জানা গেছে, বুধবার (১৩ মার্চ) মার্কিন রাষ্ট্রদূত কামালা শিরিন লাখধির তার সরকারি বাসভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও নারী ইতিহাসের মাস (উমেন’স হিস্ট্রি মান্থ) উপলক্ষে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর মার্চ মাসকে নারী ইতিহাসের মাস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।  

২৪ বছর বয়সী শরিফা ‘রোহিঙ্গা উমেন’স ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (আরডব্লিউডিএন)’ এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মালয়েশিয়ায় গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা নারীদের প্রথম সংগঠন। রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ‘ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন’ এর ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, শরিফার জন্ম মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের বুথিয়াডং এ। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনিই বড়।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর ওয়েবসাইট এর তথ্য অনুযায়ী, আরডব্লিউডিএন হলো নিজস্ব তহবিলে পরিচালিত সংগঠন। নারীদের সক্ষমতাকে জাগিয়ে তুলে তাদের ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে সংগঠনটি। নারীদের সাধারণ শিক্ষা দিতে ও সচেতন করতে বিভিন্ন ক্লাস নিয়ে থাকে তারা।