ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া

ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতি নিয়ে ইতালির রাজধানী রোমে আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। মঙ্গলবারের এ বৈঠকে অংশ নেবেন দুই দেশের কূটনীতিকরা। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

nonameনির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। এরপরই তাকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ। এরপর দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি শোডাউনের মধ্যেই গত ৮ মার্চ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ভেনেজুয়েলার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা। দেশটির ২৩টির মধ্যে ১৮টি রাজ্যেই অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সরকারবিরোধীরা এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এর মধ্যেই ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ। তিনি বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রাশিয়া তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে।

সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, সংলাপের মাধ্যমেই ভেনেজুয়েলা সংকট উত্তরণে আগ্রহী রাশিয়া।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র ফেরাতে সব বিকল্প নিয়ে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত সব বিকল্পই টেবিলে রয়েছে। নিকোলাস মাদুরো’র কবল থেকে ভেনিজুয়েলার জনগণের পরিত্রাণ পেতে যা যা করার প্রয়োজন হয় তা-ই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

মাইক পম্পেও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন ভেনেজুয়েলার জনগণের নিকট গণতন্ত্র পৌঁছে দিতে বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিকল্প সব উপায় নিয়ে ভাবছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি পুনর্নির্মাণ করে দেবে, যেখানে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য দেশটির জনগণ আবারও সম্পদের মালিক হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাইক পম্পেও বলেন, রাশিয়া ও কিউবা ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সমর্থন দিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভেনেজুয়েলা থেকে তেল না কিনতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান পম্পেও। এমন সময়ে তিনি এ আহ্বান জানালেন যখন ভেনেজুয়েলাকে তেল বিক্রিতে সহায়তার অভিযোগে রাশিয়ার একটি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।