মৃত তিমির পেটে ৪০ কেজি প্লাস্টিক!

ফিলিপাইনের উপকূলে ভেসে আসা একটি মৃত তিমির পেট থেকে ৪০ কেজি প্লাস্টিক উদ্ধার করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন সমুদ্রে বর্জ্য প্লাস্টিকের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই তিমিটির।

dead-gray-whales_92405e88-4985-11e9-aca9-eac9e517f545

সামুদ্রিক প্রাণীকে বিষাক্ত ও আহত করার পাশাপাশি খাদ্যপণ্যে প্লাস্টিকের সর্বব্যাপী উপস্থিতি মানুষের হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলছে। এটি জীবন শঙ্কাকারী নানা রোগ ও আগাম বয়ঃসন্ধির একটি বড় কারণ। প্লাস্টিকের অধিক ব্যবহার আমাদের গ্রহের টিকে থাকার চ্যালেঞ্জও বাড়িয়ে তুলছে। এসব দূষণ বন্ধের জন্য লাখ লাখ ডলার ব্যয়ে প্রচারণা শুরু করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

মার্চের শুরুর দিকে ফিলিপাইনের উপকূলে ভেসে আসে ওই তিমি। ডি’বোন কালেক্টর জাদুঘরের কর্মীরা তিমিটি উতআর করে। এক ফেসবুক পোস্টে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন পর্যন্ত কোনও তিমির পেটে তারা এত প্লাস্টিক পাননি।  

তারা জানা, তিমিটির পাকস্থলীতে ১৬ টি চালের বস্তাসহ বেশ কয়েকটি শপিং ব্যাগ ছিলো। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করবেন তারা।  

জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড্যারেল ব্লাচেলি বলেন, আমি এত বিশাল প্লাস্টিকের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।

প্লাস্টিক দূষণের হার দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মাঝে বেশি। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান অশ্যোন কনসারভেন্সি অ্যান্ড এবং ম্যাকিনসি সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এর করা প্রতিবেদন অনুযায়ী চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডই সমুদ্রে ৬০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্যের জন্য দায়ী। গত বছর জুনে থাইল্যান্ডে এক তিমির পেটে ৮০টি প্লাস্টিক ব্যাগ ঢুকে গেলে মারা যায় প্রাণীটি।