রাশিয়ার আধিপত্য ঠেকাতে ইউরোপে বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যেই ইউরোপে পরমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন ছয়টি বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে মার্কিন বিমান বাহিনী। রাশিয়া যখন ক্রিমিয়া দখলের পাঁচ বছর পূর্তি উদযাপন করছে এমন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হলো। এর মধ্য দিয়ে ইউরোপে রুশ আগ্রাসন ঠেকানো ও অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোকে আশ্বস্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত বি-৫২ বোমারু বিমান প্রথম ব্যবহৃত হয় শীতল যুদ্ধের সময়ে। এর ওজন এক লাখ ৮৫ হাজার পাউন্ড। ১৯৬২ সালে এর আরও আধুনিকীকরণ করা হয়। ১৫৯ ফুট দীর্ঘ এই বিমানটিকে এখনও শীতল যুদ্ধের একটি প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। প্রতিটি বোমারু বিমান ৭০ হাজার পাউন্ড বোমা, মাইন ও মিসাইল বহনে সক্ষম।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় ক্রিমিয়ায় পরমাণু অস্ত্রবাহী বিমান মোতায়েনের উদ্যোগ নিয়েছে রাশিয়া। রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ভিক্তোর বোন্দারেভ জানিয়েছেন, ক্রিমিয়ার ভারদিস্কোই বিমান ঘাঁটিতে দূরপাল্লার তোপোলেভ টিইউ-২২এম৩ বোমারু বিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার এ পদক্ষেপের ফলে এ অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্যে আমূল পরিবর্তন আসবে।’
রাশিয়ার এই আইনপ্রণেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ক্রিমিয়ায় মোতায়েন হতে যাওয়া কৌশলগত এসব বোমারু বিমান ইউরোপের যে কোনও স্থানে থাকা আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। তখন থেকেই দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। উত্তেজনার মধ্যেই ১০১৮ সালের ডিসেম্বরে ক্রিমিয়ায় রুশ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রাশিয়া। সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে অঞ্চলটিতে পরমাণু অস্ত্রবাহী বোমারু বিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিলো মস্কো। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশগুলোতেও পরমাণু অস্ত্রবাহী বোমারু বিমান মোতায়েন করে ওয়াশিংটন। সূত্র: রয়টার্স, পার্স টুডে।