সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘোষণা আচরণবিধির আওতামুক্ত?

 

নির্বাচনের আগ মুহূর্তে (বুধবার) চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে ভারতের স্যাটেলাইট ধ্বংসের সক্ষমতা জানান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীরা যখন অভিযোগ তুলছেন, এই ঘোষণার আগে এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা, তখন কমিশন সূত্র সে দেশের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভিকে এ ব্যাপারে তাদের আনুষ্ঠানিক মতামত জানিয়েছে। কমিশনের অবস্থান: আচরণবিধি কার্যকর থাকা অবস্থাতেও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও ঘোষণার ক্ষেত্রে সরকারকে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হবে না। noname

বুধবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাকাশে তার দেশের নতুন সক্ষমতা ঘোষণা করেন। বলেন, ভারতের জন্য এ-এক বিশাল মুহূর্ত। এর জন্য আমাদের সবাই গর্ব করতে পারি। আমরা শুধু আমাদের ভূমি, পানি আর আকাশকে রক্ষা করতে পারি তাই নয় বরং এখন মহাশূন্যকেও করতে পারি। যেসব বিজ্ঞানীরা এটা সফল করেছে আর ভারতকে আরও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে তাদের সবাইকে আমি অভিনন্দন জানাই।

ভারতের স্যাটেলাইট প্রতিরোধী অস্ত্র ব্যবস্থা বা এএসএটি যুদ্ধের সময়ে শত্রুপক্ষের যোগাযোগ ও নিরীক্ষণ ব্যবস্থায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটাতে পারে এবং শত্রুপক্ষের অবস্থান সম্পর্কে পুরো সেনাবাহিনীকেই অন্ধ করে দিতে পারে। নির্বাচনের আগে এমন শক্তি ঘোষণার পর বিরোধীরা রশ্ন তুলতে শুরু করে এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতি ছিল কিনা। এনটিটিভি এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমওশন সূত্র তাদের জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘোষণার ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমতির প্রয়োজন নেই।

শক্তি নামের এই মিশনটি সফল হওয়ায় সব বিজ্ঞানী এবং দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। তিনি বলেন, আমরা নিম্ন কক্ষপথের একটি স্যাটেলাইট ভূপাতিত করেছি। এর অর্থ হলো আমরা এখন যেকোনও ধরনের হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত। 

কংগ্রেসের দাবি তাদের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ জোট (ইউপিএ) সরকারের আমলে শুরু করা এএসএটি কর্মসূচি এখন এসে সফলতা পেল। পার্লামেন্ট সদস্য আহমেদ পাটেল টুইট বার্তায় বলেছেন, ইউপিএ সরকারের শুরু করা এএসএটি কর্মসূচি আজ পূর্ণতা পেয়েছে। আমাদের মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং ড. মনমোহন সিংয়ের দূরদর্শী নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানাই।

সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছেন। টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আজ নরেন্দ্র মোদি টেলিভিশনে একঘণ্টার খালি সময় পেয়েছেন আর জাতিকে মাঠ পর্যায়ের ইস্যু-বেকারত্ব, গ্রামীন সংকট, নারী নিরাপত্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে আকাশের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করেছেন। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও এবং গবেষণা সংস্থা আইএসআরও-কে অভিনন্দন, এই সাফল্য আপনাদের। ভারতকে আরও নিরাপদ করায় আপনাদের অভিনন্দন’।