সমকামীদের পাথর ছুড়ে হত্যার শরিয়াহ আইন চালু করলো ব্রুনেই

২০১৩ সালে কঠোর শরিয়াহ আইন প্রচলনের উদ্যোগ নিয়েও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পিছিয়ে আসে ব্রুনাই-এর সরকার। ওই সময়ে দেশটির বেভারলি হিলস হোটেলসহ বেশ কয়েকটি সার্বভৌম সম্পদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।  ওই সময় চাপের মুখে পিছিয়ে গেলেও এবারে দেশটিতে চালু হচ্ছে কঠোর শরিয়াহ আইন। এর আওতায় পুরুষের সমকামিতার শাস্তি হিসেবে নির্ধারণ করা আছে পাথর ছুঁড়ে হত্যা।  ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল থেকে পাথর ছোঁড়া ও অঙ্গচ্ছেদ আইন কার্যকর হবে।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত বছর দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল এই শাস্তি কার্যকরের ঘোষণা দিলেও সম্প্রতি তা নজরে এসেছে।

ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলখিয়া

এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বীপ দেশ ব্রুনাই-এর জনসংখ্যা প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার। সমকামিতা দেশটিতে এখনও অবৈধ। এর সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছর। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকার সময় থেকেই দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও সাধারণত তা কার্যকর করতে দেখা যায় না। তবে নতুন আইনে সমকামিতার শাস্তি হিসেবে বেত্রাঘাত বা পাথর ছুঁড়ে হত্যার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও ডাকাতির শাস্তি হিসেবে হাত বা পায়ের পাতা কেটে ফেলারও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর গবেষক রাচেল চোওয়া-হাওয়ার্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ ধরণের নিষ্ঠুর ও অমানবিক শাস্তিকে বৈধতা দেওয়া যে কোনও দেশের জন্যই বিপদজনক’।

ব্রুনাই শাসন করেন সুলতান হাসানাল বলখিয়া। ১৭৮৮ কক্ষের এক প্রাসাদে বাস করা এই সুলতানের শত শত কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। দেশের তেল বিক্রি থেকে এসব অর্থ উপার্জিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। বিগত কয়েক দশক ধরে রক্ষণশীল ইসলামের পক্ষ নিয়েছেন। যদিও এই অঞ্চলের অন্যদেশগুলোতে সাধারণত উদারবাদী ধারাই চর্চা করা হয়ে থাকে।