যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম নারী কংগ্রেসম্যানকে হত্যার হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম নারী কংগ্রেসম্যান ইলহান ওমরকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এফবিআই জানিয়েছে, হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার প্যাট্রিক কার্লিনিও নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হুমকিদাতা প্যাট্রিক ট্রাম্পের ভক্ত বলে জানিয়েছে তারা। তবে কোন জায়গা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ তা জানাননি। উল্লেখ্য, ইলহান ওমর ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার। মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, হুমকি দেওয়ার সময় তাকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে সম্বোধন করে হুমকিদাতা।

মার্কিন কংগ্রেসম্যান

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম যে নির্বাচিত প্রথম দুই মুসলিম নারী কংগ্রেস সদস্যের একজন ইলহান ওমর। শিশু বয়সে চার বছর কেনিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে ছিলেন তিনি। পরে শরণার্থী হিসেবে নিজ দেশ সোমালিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। হিজাব পরা আইনপ্রণেতা হিসেবে তিনিই প্রথম মার্কিন কংগ্রেসে ঢোকার ইতিহাস সৃষ্টি করেন। মার্চে তার ওয়াশিংটন ডিসির অফিসে টেলিফোন করে হুমকি দেওয়া হয় তাকে।

এফবিআই বলছে, প্যাট্রিক নামের এক ব্যক্তি ইলহানকে গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছে। তার কার্যালয়ে ফোন করে পাওয়া ব্যক্তিকে বলেছে, 'তুমি কি মুসলিম ব্রাদারহুডের জন্য কাজ করো? কেন তুমি তার হয়ে (ইলহান) কাজ করো? গুলি করে আমি তার মাথার খুলি উড়িয়ে দেবো।'

এফবিআই ওই ফোন কলের সংরক্ষিত অডিও পর্যালোচনা করে জানিয়েছে, হুমকি দেওয়ার সময় প্যাট্রিক রাগতস্বরে কথা বলেছে। তবে সে সময় সঠিক উচ্চারণে নিজের নাম প্রকাশের পাশাপাশি তার সঙ্গে যোগাযোগের তথ্যও সরবরাহ করেছে সে। এফবিআই’র দাবি, তাদের কাছে নিজেকে ‘দেশপ্রেমিক’ ও ট্রাম্পভক্ত হিসেবে পরিচয় দিয়েছে প্যাট্রিক। জানিয়েছে, মুসলিমবিরোধী নীতির কারণেই সে ট্রাম্পকে পছন্দ করে।

আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি-এআইপিএসি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে ক’দিন আগেই তোপের মুখে পড়েছিলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার পক্ষের এই আইনপ্রণেতা। টুইটারে তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েলকে মদত দিতে মার্কিন রাজনীতিকদের প্ররোচিত করে ওই সংস্থা। তীব্র আক্রমণের কবলে পড়ে ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চান তিনি।