ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন অ্যাসাঞ্জ: ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট

অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো। বার্তায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক আশ্রয়ের বিধি ভঙ্গের একগাদা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। দাবি করেছেন, অ্যাসাঞ্জ তাদের ধৈর্যের বাধ ভেঙে দিয়েছেন।

imagen-lenin-moreno-20-02-2018

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) উইকিলিকসের টুইটে বলা হয়,ইকুয়েডর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দুইটি সূত্র থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে অ্যাসাঞ্জকে দূতাবাস থেকে তাড়ানো হতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে বৃহস্পতিবার তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর।
বিবৃতিতে মোরেনো অভিযোগ করেন, অ্যাসাঞ্জের আচরণ নিয়ে ইকুয়েডরের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। দূতাবাসে থেকেই অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছিলেন অ্যাসাঞ্জ।বারবার তিনি কূটনৈতিক আশ্রয়ের স্পষ্ট নিয়ম ও রীতি ভঙ্গ করেছেন। এমন কিছু কিছু ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস তিনি ব্যবহার করেছেন যার অনুমতি ছিলো না। দূতাবাসের সিকিউরিট ক্যামেরার ফুটেজ আটকে দিয়েছেন তিনি। নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
মোরেনোর অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া দূতাবাসের নিরাপত্তা নথি দেখেছেন। দূতাবাস থেকে ইন্টারনেট সংযোগের প্রস্তাব দেওয়া হলে তা গ্রহণ না করে তিনি দাবি করেছেন তাকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে তার কাছে মোবাইল ফোন ছিলো যা দিয়ে তিনি ঠিকই বহির্বিশ্বে যোগাযোগ রাখতেন।
জামিন শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি ছিল ব্রিটিশ সরকারের। বৃহস্পতিবার সেই পরোয়ানা অনুযায়ীই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জেন রবিনসন বলেছেন, ‘কেবল জামিন শর্ত ভঙ্গের কারণে নয়, অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যার্পণের অনুরোধ রক্ষা করতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’