মাদুরোকে উৎখাতে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড়’ মিছিলের ডাক ভেনেজুয়েলার গুইদোর

ভেনেজুয়েলায় নিকোলাস মাদুরো সরকারকে উৎখাতে চাপ অব্যাহত রাখতে আগামী ১ মে সমর্থকদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুইদো। সেদিন আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে লাতিন আমেরিকার দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মিছিল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাজধানী কারাকাসের পূর্বাঞ্চলীয় প্লাজায় আয়োজিত এক সমাবেশে এই আহ্বান জানান গুইদো।ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুইদো

নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে এবছরের শুরুতে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে বৈধ অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ তাকে স্বীকৃতি দিলেও প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকার অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন গুইদো।

নিজেকে অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পর দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে তার প্রতি সমর্থনের আহ্বান জানান গুইদো। নিজেকে সমর্থন দিলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দায়মুক্তির প্রস্তাব দিয়েও সাড়া পাননি জুয়ান তিনি। ভেনেজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনী এখনও মাদুরো সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুক্রবার কারাকাসে সমবেত সমর্থকদের উদ্দেশে গুইদো বলেন, তাদেরকে শুনতে হবে যে মানুষ বলছে যথেষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি দখলদারিত্ব অবসানের দাবিতে জনগণকে ভেনেজুয়েলার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই মিছিলে অংশ আহ্বান জানাচ্ছি যাতে এই ট্রাজেডির ইতি ঘটতে পারে’।

আগামী ১ মে গুইদোর ডাক দেওয়া মিছিলের চূড়ান্ত গন্তব্য কোথায় হবে তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে শুক্রবারের জমায়েতে উপস্থিত কেউ কেউ ওই মিছিল প্রেসিডেন্টের বাসভবন মিরাফ্লোরস-এর সামনে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

গুইদোর সমাবেশে উপস্থিত ৫৮ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক ইলায়দি ভারগাস বলেন, ‘তিনি একা নন। প্রতিদিন আমরা সামনে এগুচ্ছি আর পেছনে ফেরার পথ নেই। আগামীকালই হয়তো সবকিছু হয়ে যাবে না। তবে খুব তাড়াতাড়ি তা ঘটে যাবে’।