শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা

সিরিজ বোমা হামলাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।বিস্ফারণের পর ধ্বংস স্তুপের পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান (ছবি: সংগৃহীত)

রবিবার (২১ এপ্রিল) খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশেপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বিস্ফোরণ চালানো হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯০ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ।

গার্ডিয়ান জানায়, সোমবার জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের মিডিয়া টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসবাদ দমন থেকে শুরু করে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা সংক্রান্ত কাজগুলো করতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

জরুরি অবস্থার আওতায় বাড়তি ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ পেলো দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এর ফলে আদালতের আদেশ ছাড়াই তারা সন্দেহভাজনদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। রবিবারের হামলার ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার না করলেও নবগঠিত উগ্রপন্থী ইসলামী সংগঠন ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত কে সন্দেহ করছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তবে এদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংযোগ থাকার ব্যাপারেও সন্দেহ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক এ সংযোগ শনাক্ত করতে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বিদেশি সহায়তা চাইবেন বলেও জানানো হয়েছে।

মিডিয়া টিমের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় জঙ্গিদের নেপথ্যে বিদেশি জঙ্গি সংগঠনগুলোর মদত রয়েছে। সে কারণে বহির্বিশ্বের সহযোগিতা চাইবেন প্রেসিডেন্ট।’