বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে: রাশিয়া

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে বলে মনে করে রাশিয়া। সোমবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের তাগিদ দিয়েছে ল্যাভরভ। তিনি বলেন, এ সংকটের একটি যথার্থ সমাধান পেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দুই দেশকে সহায়তা করা।

সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, আমি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার বাইরে অন্য কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পথ দেখি না।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ

মিয়ানমারের পরিকল্পিত রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো সোচ্চার হলেও এ ইস্যুতে বরাবরই মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে চীন ও রাশিয়া। এমনকি রোহিঙ্গাদের ওপর বর্মি বর্বরতাকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হিসেবে আখ্যায়িত করায় যুক্তরাষ্ট্রেরও সমালোচনা করেছে দেশটি। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে কোনও কঠোর পদক্ষেপের প্রস্তাবে বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে চীন-রাশিয়া।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে নতুন করে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরুর পর জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।