তথ্য ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার বরখাস্তকৃত ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল (এনএসসি) থেকে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরখাস্ত হওয়া ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসন। এই অভিযোগের বিষয়ে পুলিশি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। উইলিয়ামসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এনএসসি বৈঠকে চীনা টেলিকম প্রতিষ্ঠান  হুয়াওয়ে-কে ব্রিটেনে ৫জি নেটওয়ার্কের কাজ দেওয়া সংক্রান্ত আলোচনা ফাঁস করে দিয়েছেন। বিরোধী দলগুলো তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গে অভিযোগের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।বরখাস্ত হওয়া ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসন

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে সিনিয়র মন্ত্রীরা দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য। প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদেরও এর বৈঠকে ডাকা হয়। বৈঠকগুলোতে সভাপতিত্ব করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সরকারের সবচেয়ে গোপনীয় ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়েই এখানে আলোচনা হয়। ওই বৈঠক থেকে হুয়াওয়ে সংক্রান্ত আলোচনা ফাঁসের পর ২০১৭ সাল থেকে দায়িত্বরত উইলিয়ামসনকে বুধবার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

স্কাই নিউজকে উইলিয়ামসন নিজের সন্তানদের জীবনের শপথ করে বলেছেন এই তথ্যফাঁসের জন্য তিনি দায়ী নন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা স্যার মার্ক সেডউইলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। এই তথ্য ফাঁসের তদন্ত করছেন সেডউইল। দ্য টাইমসকে উইলিয়ামসন বলেছেন এনএসসি বৈঠকের পর কী হয়েছিল তা নিয়ে পুলিশি তদন্তের জন্য তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের গত সপ্তাহের বৈঠকে হুয়াওয়ে-কে ফাইভ জি নেটওয়ার্কের কাজ দেওয়া নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রীরা। দ্য টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, হুয়াওয়ে-কে ফাইভ জি নেটওয়ার্কের কাজ দেওয়া নিয়ে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসলে সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস ছাড়াও এমন এক সময়ে ঘটনাটি ফাঁস হয়েছে যখন হুয়াওয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টানাপড়েন চলছে। ফলে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে চলে আসায় অস্বস্তিতে পড়ে থেরেসা মে সরকার।

বুধবার সন্ধ্যায় উইলিয়ামসনের সঙ্গে এক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে উইলিয়ামসনকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন তার কাছে তথ্য রয়েছে যে উইলিয়ামসনই এই তথ্য ফাঁসের জন্য দায়ী।