যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় অভিযোগ গঠন শুক্রবার

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় শুক্রবার অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে ‘স্টেম স্কুল হাইল্যান্ডস রাঞ্চ’ স্কুলে সহপাঠীদের ওপর বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেখানকারই দুই শিক্ষার্থী ডেভন এরিকসন ও মায়া ম্যাককিনে। বুধবার তাদের আদালতে নেওয়া হয়।  

স্টেম স্কুল এলাকা
ডগলাসের কাউন্টি শেরিফ টনি স্পুরলকের বর্ণনা অনুযায়ী, স্কুলের দুইটি ক্লাসরুমে ঢুকে গুলি ছুড়তে শুরু করে এরিকসন ও মায়া। গুলিতে ১৮ বছর বয়সী কেন্ড্রিচ ক্যাস্টিলো নিহত হয়, আহত হয় আরও ৭ শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে পার্শ্ববর্তী শেরিফ বিভাগের সাবস্টেশন ডেপুটিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর ওই দুই বন্দুকধারী শিক্ষার্থীকে আটক করতে সক্ষম হন তারা।

বুধবার (৮ মে) প্রথমবারের মতো আদালতে হাজিরা দেয় এরিকসন ও মায়া। শুনানি চলার সময় মাথা নত করে রেখেছিল এরিকসন। চুল দিয়ে ঢাকা পড়েছিল তার চোখগুলো। ১৮ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজনের কোমরে দড়ি বাঁধা ছিল, হাতে ছিল হাতকড়া। বার বারই মাথা নেড়ে নেড়ে বিচারপতির প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলো সে। এক পর্যায়ে তাকে মুখে জবাব দেওয়ার অনুরোধ জানান বিচারপতি। বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে তার কোনও প্রশ্ন রয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। একেবারেই সাদাসিধেভাবে এরিকসন উত্তর দেয় ‘না’। শুক্রবার (১০ মে) আবারও তার আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। এদিন তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হতে পারে।

এরিকসনের পর আদালতে হাজির করা হয় ১৬ বছর বয়সী মায়া ম্যাককিনেকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেনভার সেভেন-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে সে রূপান্তরকামী। আদালতে অ্যাটর্নি জানান, ম্যাককিনে পুরুষবাচক সর্বনাম ও অ্যালেস নামটি ব্যবহার করে। বিচারপতির চোখে চোখ রেখে স্পষ্ট ও শান্ত কন্ঠস্বরে প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলো সে। বলছিলো, ‘জ্বী মাননীয় আদালত’ ও ‘না, মাননীয় আদালত’। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জর্জ ব্রুচলার বলেন, ম্যাককিনির বিরুদ্ধে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো করে অভিযোগ আনা হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তিনি মনে করেন বিচারপতির রিভিউ ছাড়াই প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে অভিযুক্ত করার মতো যথেষ্ট বয়স ম্যাককিনির হয়েছে।