বুথ ফেরত জরিপের পর উত্তর প্রদেশে জোটসঙ্গীর মন্ত্রিত্ব অপসারণ করলো বিজেপি

লোকসভা নির্বাচনের বুথফেরত জরিপ সামনে আসতেই উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী ওপি রাজভরকে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তবে রাজভরের দাবি, এক মাস আগেই তিনি জোটসঙ্গী বিজেপির থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

LEAD_YOGI_160969_730x419-m

দেড় মাস ধরে সাত ধাপে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ২৩ মে (বৃহস্পতিবার)। ১৯ মে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বুথফেরত জরিপগুলো ফলের আভাস দিতে শুরু করেছে। দুই বুথফেরত জরিপে আবারও বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের ক্ষমতায় আসার আভাস পাওয়া গেছে।

২০১৭ সালে গঠিত উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত রাজভর বছরখানেক আগেই প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন। সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির মুখ্য রাজভর গত মাসেই দাবি করেছিলেন, তিনি পদত্যাগ করেছেন। এদিন সকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমি এপ্রিলেই ছাড়তে চেয়েছিলাম, কিন্তু যোগী সেটা গ্রহণ করেননি। যে গতিতে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল, এবার সেই গতিতে অনগ্রসর শ্রেণির জন্যও কাজ করুন।' তিনি জানান, গত বছর থেকে তিনি বিজেপিতে খুশি নন এবং “উপেক্ষিত” বোধ করছেন

গত বছর থেকেই রাজভর জনসমক্ষে যোগী আদিত্যনাথের সমালোচনা করে চলেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, যোগী আদিত্যনাথ জোটসঙ্গী ও অনগ্রসর শ্রেণি সকলকেই অবহেলা করছেন। এপ্রিলে আদিত্যনাথের লক্ষ্নৌর বাড়িতে রাত তিনটের সময় পদত্যাগপত্র জমা দিতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন। পুরো ব্যাপারটা সামাল দিতে সেযাত্রায় সফল হয় পার্টি। রাজভর যাতে রাগ করে জোট থেকে বেরিয়ে না যান, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়। অবশেষে বুথফেরত জরিপের হিসাব প্রকাশিত হওয়ার পরদিনই রাজভরকে সরিয়ে দেওয়া হল মন্ত্রিত্ব থেকে।

রবিবারই রাজভর বলেন, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী ও অখিলেশের জোট বিরাট জয় পাবে। কয়েক ঘণ্টা পরে বুথফেরত জরিপ জানিয়ে দেয়, বিজেপি বিপুল সাফল্য পেতে চলেছে। যার ফলে উত্তরপ্রদেশে বিরোধী জোটের কাছে কয়েকটা আসন হারালেও আলাদা করে কোনও প্রভাব পড়বে না। রাজভর ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচন কেন্দ্র বারাণসীও।

চলতি মাসেই শুরুতেই রাজভর জানিয়ে দিয়েছিলেন জোট আর নেই। গত ৬ মে তিনি বলেন, ‘১৩ এপ্রিল আমি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছি। এখন বিজেপির ব্যাপার তারা সেটা গ্রহণ করবে না করবে না। আমার আর সরকারের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।'