আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া যাওয়া ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের

আইএসে যোগ দেওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শামীমা বেগমের বিষয়টি সামনে আসার পর সিরিয়ায় আইএস অধ্যুষিত এলাকায় ভ্রমণ করা ব্রিটিশ নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, নতুন সন্ত্রাসবিরোধী ও সীমান্ত নিরাপত্তা  আিইনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনও স্থানে ভ্রমণের বিষয়টি ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য অপরাধ বলে বিবেচনা করার এখতিয়ার রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ

১৯ বছরের শামীমা এখন সিরিয়ায় শরণার্থী শিবিরে বাস করছে। সম্প্রতি তার সদ্যোজাত সন্তান মারা গেছে। সন্তান মারা যাওয়ার আগে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে সে আবেদন জানিয়েছিল দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার জন্য। প্রায় ৪ বছর আগে পূর্ব লন্ডনের বাড়ি থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেয় এবং এক আইএস সদস্যকে বিয়ে করে। গর্ভবতী অবস্থায় কিছুদিন আগে তাকে সিরিয়ায় শরণার্থী শিবিরে শনাক্ত করা হয়।

লন্ডনে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সদর দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি আমার কর্মকর্তাদের বলেছি তারা যেন কাউন্টার টেরোজিম এর সঙ্গে নীতি নিয়ে এবং গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সিরিয়ায় এমন ক্ষমতা প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। বিশেষ করে ইদলিব ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায়।

তিনি বলেন, সুতরাং যারা এই এলাকায় যৌক্তিক কোনও কারণ ছাড়া অবস্থান করবে তাদের নোটিস করা হবে। ভবিষ্যতে আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

চলতি বছর শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হয়। বাংলাদেশও তাকে প্রবেশাধিকার দিতে রাজি নয়। সাজিদ জাভিদ বলেন, ‘বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়া হয় না। তবে যাদের নিয়ে ঝুঁকি আছে তাদের আমরা ফিরে আসতে দিবো না। কখনো কখনো সেজন্য কারও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের নতুন এই আইনে যদি সিরীয় অঞ্চল অন্তভূক্ত করা হয় তবে সিরিয়ায় আটক ব্রিটিশরা আর যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবে না। তবে একমাসের মধ্যে ওই স্থান ত্যাগ করলে তা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে না। এছাগা সেখানে গবেষণার কাজে যাওয়া কিংবা সাংবাদিকতায় নিয়োজিতরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পরবেন না।

সাজিদ জাভিদ দাবি করেন, গত ২ বছরে ১৯টি সন্ত্রাসী হামরার পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছে ব্রিটেনের  পুলিশ বাহিনী। এর মধ্যে ১৪টিই ছিলো জিহাদি হামলা। তবে এরপরও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সন্ত্রাসবিষয়ক আইন পর্যালোচনাকারী হিসেবে ব্যারিস্টার জোনাথান হলের নামও ঘোষণা করা হয়। তিনি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন তেরি করবেন। সরকার সেই প্রতিবেন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে এবং প্রকাশ করবে।