পূর্বশর্ত ছাড়া ইরানের সঙ্গে আলোচনায় রাজি যুক্তরাষ্ট্র: পম্পেও

কোনও পূর্বশর্ত ছাড়া ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ওয়াশিংটন রাজি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। একই সাথে তেহরানকে নিয়ন্ত্রণে তার দেশ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওয়াশিংটন-তেহরান উত্তেজনার মধ্যে সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পম্পেও। ইরান অবশ্য বারবার বলে আসছে, তেহরানের ওপর নতুন আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকা অবস্থায় ওয়াশিংটনের সাথে আলোচনায় বসবে না তারা।সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাতে সংবাদ সম্মেলনে মাইক পম্পেও

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার বর্ষপূর্তির দিনে চুক্তি থেকে আংশিক সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেয় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে উগসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী রণতরী ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের হুমকি মোকাবিলায় ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ শুরুর অভিযোগ এনেছে।

তবে রবিবার সুইজারল্যান্ডে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিস-এর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, কোনও পূর্বশর্ত ছাড়াই আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা তাদের সাথে বসার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, মৌলিকভাবে আমেরিকার প্রচেষ্টা হলো এই ইসলামিক রিপাবলিক ও বিপ্লবী বাহিনীকে তাদের চলমান মারাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করা।

শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সম্মান দেখায় তাহলে ইরান আলোচনায় বসতে পারে। রুহানিকে উদ্ধৃত করে ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস নিউজের খবরে বলা হয়, ওয়াশিংটনের সাথে আলোচনায় তেহরান তর্জন-গর্জন করবে না। রুহানি বলেন, ‘তারা যদি সম্মানের সাথে আলোচনার টেবিলে বসে আর আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে এবং আলোচনায় কোনও ইস্যু যদি চাপিয়ে না দেয়, তাহলে আমরা যুক্তির পক্ষে থাকবো’।