ঝাড়খণ্ডে আবারও মাওবাদী হামলা, জওয়ান নিহত

এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতের ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয়বারের মতো মাওবাদী হামলার কবলে পড়েছে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সেখানকার সরাইকেলা খরসওয়া জেলায় সংঘটিত হামলার পাঁচ দিনের মাথায় রবিবার (২ জুন) দুমকায় হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। হামলায় এক জওয়ান নিহত হয়েছেন। আহত ৪ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

noname

লোকসভা নির্বাচন শুরুর কিছু দিন আগে পলামুতে বিজেপির একটি কার্যালয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল মাওবাদীরা। ভোট চলাকালীন হামলা না-হলেও ভোটের পরে তাদের পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা চালানো হলো। ২৯ মে সরাইকেলা-খরসওয়া জেলার সিন্দিরির জঙ্গলে হামলার ধারাবাহিকতায় রবিবার তারা দুমকার রানিক্ষেত্রের কাঠালিয়া গ্রামে হামলা করে।

পুলিশ সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নীরজ ছেত্রী নামে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-এর এক জওয়ান নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি আসামে। আহত হয়েছেন ওই বাহিনীরই ৪ জন জওয়ান। তাদের মধ্যে রাজেশ কুমার রাই নামের এক জওয়ানের আঘাত গুরুতর। পেটে গুলি লেগেছে তার। পুলিশের দাবি, তাদের  গুলিতে অন্তত পাঁচ জন মাওবাদী আহত হয়েছে। তাদের সন্ধানে জঙ্গলে দিনভর তল্লাশি চালানো হয়।

পুলিশ দাবি করেছে, দুমকার রানিক্ষেত্রের কাঠালিয়া গ্রামের আশপাশে মাওবাদীরা জড়ো হয়েছে বলে তাদের কাছে খবর এসেছিল। রবিবার সকালে ওই এলাকায় যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ এবং এসএসবি-র যৌথ দল। তল্লাশির সময়ে হঠাৎ জঙ্গলের মধ্যে তাদের গাড়ির সামনে চলে এসে মাওবাদীরা গুলিবৃষ্টি শুরু করে। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও। গোলাগুলিতে গুরুতর জখম হন নীরজ। দুমকা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজেশ কুমারকে হেলিকপ্টারে রাঁচীর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই পরপর দুই বার মাওবাদী হামলায় সর্তক ঝাড়খণ্ড পুলিশ। তারা বলছে, রাজ্যজুড়ে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে সর্তক করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ মে (বুধবার) সরাইকেলা-খরসওয়া জেলার সিন্দিরির জঙ্গলে হামলা চালায় মাওবাদীরা। সে সময় পুলিশ জানায়, সিন্দিরির পাহাড়ি রাস্তায় মাওবাদীদের পাতা ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)-র ধারাবাহিক বিস্ফোরণে সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী ও ঝাড়খণ্ড সশস্ত্র পুলিশের মোট ১৬ জন আহত হয়েছেন।