ডেনমার্কের নির্বাচনে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের জয়

ক্ষমতাসীন সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির বিরোধিতার বিজয় হলো ডেনমার্কে। জনকল্যাণ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে দেশের সাধারণ নির্বাচনে অভাবনীয় জয় পেয়েছে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা। পর্যবেক্ষকরা একে উদারনৈতিক অর্থনীতির বিপরীতে জনকল্যাণমূলক রাজনীতির বিজয় হিসেবে দেখছেন।  

noname

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবারের নির্বাচনে সোশাল ডেমোক্রেটিক নেতা মেটে ফ্রেডেরিকসেনের জোট ৯৬টি আসন জিতেছে। ক্ষমতাসীন ডানপন্থীরা পেয়েছে মাত্র ৭৯টি আসন। ৪১ বছর বয়সী ফ্রেডেরিকসেন প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসলে তিনিই হবেন দেশটির সবচেয়ে কম বয়সী সরকারপ্রধান।

নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী লারস লোকি রাসমুসেন। ২০০৯ থেকে ২০১১ ও ২০১৫ থেকে এ পর্যন্ত বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করা ডানপন্থী ওই নেতা বৃহস্পতিবারই রানি মার্গ্রেথের কাছে তার ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ব্যয় সংকোচন নীতির বিপরীতে শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ কল্যাণমূলক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ও অভিবাসীদের নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন ফ্রেডেরিকসেন। জনমত জরিপগুলোও তাকেই এগিয়ে রেখেছিল। ফল ঘোষণার পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় ৪১ বছর বয়সী ওই নারী বলেছেন, “এ নির্বাচন ছিল জনকল্যাণের; ভোটাররা সুস্পষ্ট রায় জানিয়েছেন। এখন থেকে জনকল্যাণেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে ডেনমার্ক,” ।

রয়টার্স বলছে, বুধবারের ভোটের ভেতর দিয়ে এক বছরের মধ্যেই নর্ডিক অঞ্চলের তৃতীয় দেশে বামপন্থী সরকার গড়ার পথ সুগম হলো। ডেনমার্কের ভোটাররা দেশটিতে দুই দশক ধরে চলে আসা ‘উদারনীতির’ বিরুদ্ধেও রায় দিয়েছেন বলে ভাষ্য পর্যবেক্ষকদের। তারা বলছেন, এ কারণেই প্রবল জনসমর্থন নিয়ে সোশাল ডেমোক্রেট ও বামপন্থিরা ক্ষমতায় ফিরেছে।