মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে বড় ধরনের ভুল করেছে ইরান: ট্রাম্প

হরমুজ উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নজরদারি ড্রোন (চালকবিহীন) বিমান ভূপাতিত করে ইরান বড় ধরনের ভুল করেছে বলে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে দাবি করেছে, মার্কিন নৌবাহিনীর বিভিন্ন সামগ্রী বহন করে ড্রোনটি আন্তর্জাতিক পানি সীমার অভ্যন্তরে আবর্জনার স্তুপে ফেলতে গেলে তা ভূপাতিত করা হয়। তবে ইরানের দাবি, তেহরানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ায় মার্কিন ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ভূপাতিত করার সময়ে ড্রোনটি আন্তর্জাতিক পানিসীমাতেই ছিল।মার্কিন সামরিক আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক ড্রোন বিমান

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু নিয়ন্ত্রণবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু গত বছর ইউরোপীয় মিত্রদের বাধা সত্ত্বেও ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে ইরানের ওপর তেল রফতানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে একের পর এক অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলার মধ্যেই মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটলো।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, মার্কিন বিমান ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ জাতিসংঘে নিয়ে যাবে তারা। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না কিন্তু অবশ্যই আমাদের আকাশ, ভূমি আর পানি সীমা রক্ষা করবো’।

ইরানের তরফে এমন বার্তা আসার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুই্ট বার্তায় বলেন, ইরান বড় ধরনের ভুল করেছে। পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে সাক্ষাৎ করতে বেরিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকেরা তার কাছে ইরানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, আমরা দ্রুত তা নির্ধারণ করবো।

ধারাবাহিক উত্তেজনা চলমান থাকা অবস্থায়, ক’দিন আগে মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটন-তেহরান যুদ্ধ শুরু হলে অনিশ্চিত ফলাফলসহ ভয়াবহ পরিণাম বয়ে নিয়ে আসবে।