যুক্তরাষ্ট্র ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বন্ধ না করলে আলোচনায় নারাজ ইরান

সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিসহ ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ওয়াশিংটনের অবজ্ঞার প্রমাণ বলে অভিহিত করেছে তেহরান। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখতে রাভানচি সোমবার নিউ ইয়র্কে এ বিশ্ব সংস্থার সদর দফতরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বন্ধ না করলে ইরান তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখতে রাভানচি

সম্প্রতি ওয়াশিংটন-তেহরান ধারাবাহিক উত্তেজনার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হয়েছে অস্থিরতা। কয়েক দিন আগেই সেখানে আরও ১ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এরপর ‘আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক’ নামের একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে ইরান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নেন। তবে ২২ জুন শনিবার ট্রাম্প টুইটারে জানিয়ে রেখেছিলেন, নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে তার প্রশাসন। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় সোমবার থেকে নতুন করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দফতর ও সে দেশের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখতে রাভানচি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন কিংবা বিশ্বজনমতের প্রতি আমেরিকার যে বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই সে কথা আজকের নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আরেকবার প্রমাণিত হলো।

ট্রাম্প ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার কিছুক্ষণ পর মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ওয়াশিংটন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির দফতরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সেই সঙ্গে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র আট শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। ইরান আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।

তবে মাজিদ তাখতে রাভানচি বলেছেন, চাপ, হুমকি ও নিষেধাজ্ঞার মুখে ইরান কখনও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে আগে তেহরানবিরোধী অর্থনৈতিক যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে।