আসামে বন্যার কবলে ১৫ লাখ মানুষ, নিহত ১০

ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ নিজেদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। গত ৭২ ঘণ্টায় বন্যাজনিত বিভিন্ন কারণে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে সেখানকার কর্মকর্তারা। ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।বন্যার কবলে পড়ে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে আসামের দশ লাখ মানুষ

 

হিমালয় থেকে শুরু হয়ে ভারতের আসাম ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানিতে আসামের ১৮ হাজারেরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাজ্যের আরও পাঁচটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার রাজ্য সরকারের বন্যা বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘গত তিন দিনে পানিতে ডোবার আলাদা আলাদা ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে আর ১০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিচ্ছে’।
মৌসুমি বৃষ্টিপাতে আসামের মোট ৩২টি জেলার মধ্যে অন্তত ২৫টি আক্রান্ত হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় ব্রহ্মপুত্রের পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আসামের পানিসম্পদমন্ত্রী কেশব মাহান্ত বলেছেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি খুবই মারাত্মক।’

চা’র জন্য বিখ্যাত আসাম কয়েক বছর ধরে বন্যা ও ভারী বর্ষণে আক্রান্ত হচ্ছে। বহু মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বন্যা ও ভারী বর্ষণে। সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী কয়েক দিনেও রাজ্যটিতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সতর্কতা রয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অংশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আসাম এবং পার্শ্ববর্তী বিহার রাজ্য থেকে ৭৫০ জনকে উদ্ধার করেছে জরুরি উদ্ধারকর্মীরা।