ফেসবুকে সেনাবাহিনীর সমালোচনা, মিয়ানমারের চলচ্চিত্র নির্মাতা অভিযুক্ত

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় মিন হতিন কো কো গেয়ি নামের এক চলচ্চিত্র নির্মাতাকে অভিযুক্ত করেছে সেদেশের আদালত। ক্যান্সার আক্রান্ত হতিনের শারীরিক অবস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন টাউনশিপ আদালতের বিচারপতি তাকে অভিযুক্ত করেন।

হতিন
মানবাধিকারবিষয়ক একটি চলচ্চিত্র উৎসব পরিচালনা করে থাকেন পরিচালক মিন হতিন। এক সেনা কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন মাস আগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সেনা কর্মকর্তা তার অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে হতিনের ১০টি ফেসবুক পোস্ট উপস্থাপন করেন। ওইসব পোস্টে দেখা যায়, হতিন সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক ভূমিকা ও মিয়ানমারে ২০০৮ সালে প্রণীত সংবিধান নিয়ে সমালোচনা করেছেন। সেনাবাহিনী প্রণীত ওই সংবিধান বর্তমানে সংশোধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি।

মিয়ানমারের পেনাল কোডের ৫০৫ (এ) ধারার আওতায় পরিচালক হতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আইনের এ ধারা অনুযায়ী, কারও বক্তব্য যদি সেনা সদস্য অথবা অন্য সরকারি কর্মকর্তাকে বিদ্রোহে প্ররোচিত করে কিংবা হেয় করে অথবা অথবা তাকে কর্তব্য পালনে ব্যর্থ করে তবে ওই মন্তব্যকারীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। হতিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শুনানিতে ইনসেইন টাউনশিপ আদালতের বিচারপতি বলেছেন, হতিনের পোস্টগুলো সেনা সদস্যদের জন্য সম্মান হানিকর।

ওই একই ফেসবুক পোস্টগুলোর জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা হতিনের বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ আইনের আওতায় আলাদা করে একটি মানহানি মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের রুলের পর সাংবাদিকদের কাছে এ চলচ্চিত্র নির্মাতা দাবি করেন, সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা কিংবা তাদেরকে অসম্মান করার কোনও ইচ্ছা তার ছিল না।