ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বরিস জনসন

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা। আর রানী এলিজাবেথও তার নিয়োগ চূড়ান্ত করেন।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।  

_107987598_gettyimages-1157398957

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। দলের সদস্যরা চারদফা ভোটের পর মঙ্গলবার তাকে নতুন নেতা নির্বাচিত করেছেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই নিয়ম অনুযায়ী বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেন বরিস জনসন। 

রাজপ্রাসাদ থেকে বেড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যায়ল ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংক্ষিপ্ত ভাষন দেন নতুন এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতা, মুক্তমত আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। এ জন্যই আগামী ৩১ অক্টোবর আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেড়িয়ে যাব।

থেরেসা মে অধ্যায় শেষে বরিস জনসনের সরকারের যুগে প্রবেশ করলো ব্রিটেন। ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে এমপিদের সাথে বিরোধীতার জের ধরে পদত্যাগ করেন থেরেসা মে। তার জায়গায় দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসেন লন্ডনের সাবেক মেয়র ও থেরেসা সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন।

আলেকজান্ডার বরিস দ্য ফেফেল জনসনের জন্ম নিউ ইয়র্কে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব রেখে দিয়েছিলেন। ব্রিটেনের অভিজাত সমাজের আদর্শ প্রতিনিধি তিনি।বাবা ছিলেন কূটনীতিক। কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে ইউরোপীয় সংসদের সদস্যও হয়েছিলেন। অত্যন্ত অভিজাত স্কুল ইটনে পড়ে গ্রাজুয়েশন করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরুনোর পর পেশা হিসাবে সাংবাদিকতাকে বেছে নেন। দি টাইমস পত্রিকায় কাল্পনিক একটি উদ্ধৃতি ব্যবহারের জন্য চাকরি খুইয়েছিলেন। তারপর আরো দুই একটি পত্রিকায় কাজ করার পর যোগ দেন বিখ্যাত দ্য টেলিগ্রাফে। ব্রাসেলসে ঐ পত্রিকার প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করতেন।

২০০১ সাল থেকে তৎকালীন বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির টিকেটে এমপি নির্বাচিত হলেও তিনি কখনও ছায়া মন্ত্রিসভায় ঢোকেননি। দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা তাকে তেমন পছন্দ করতেন না। ২০০৮ সালে সংসদের রাজনীতি ছেড়ে তিনি লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন। এবং তখনই ব্রিটেনের রাজনীতিতে ভিন্ন এক মাত্রা পেয়ে যান বরিস জনসন।