কাশ্মিরে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, গুজবে বিশ্বাস না করার আহ্বান

অমরনাথ তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের কাশ্মির সফর সংক্ষিপ্ত করে ফেরার নির্দেশ দেওয়ার পর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যটিতে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যের রাজনীতিবিদদের ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রপতির শাসনে থাকা রাজ্যটির গভর্নর সত্য পাল মালিক। ওই বৈঠকে গুজবে বিশ্বাস না করে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর।কাশ্মিরের গভর্নর সত্য পাল মালিক

কাশ্মিরের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রের কাছে দশ হাজার সেনা সদস্য চাওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় শুক্রবার অমরনাথ তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের কাশ্মির সফর সংক্ষিপ্ত করে ফেরার আদেশ জারি করে ভারত। দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের কাশ্মির ত্যাগ করতে বলে রাজ্য সরকার।

রাজ্য পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার পর গত কয়েক মাস ধরেই রাষ্ট্রপতির শাসনে রয়েছে কাশ্মির। সংবিধানিক এই বিশেষ ধারার শাসনের মধ্যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা নোটিশ জারির কারণে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। রাজনীতিবিদদের আশঙ্কা সংবিধানের ৩৫ এ ধারা বাতিল করতে যাচ্ছে দিল্লি। ভারতীয় সংবিধানের এই ধারায় কাশ্মিরের নাগরিকদের চাকরি ও ভূমির ওপর বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, কাশ্মিরি জনগনের বিশেষ অধিকারের যে সামান্যটুকুও অবশিষ্ট রয়েছে এখন দিল্লি তা কেড়ে নিতে চাইছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিসহ বেশ কয়েক জন রাজনীতিবিদ গভর্নর সত্য পাল মালিকের সঙ্গে দেখা করেন। ওই বৈঠকে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শাহ ফয়সাল, সাজ্জাদ লোন ও ইমরান আনসারিও ছিলেন।

শুক্রবার রাতে গভর্নরের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাজনীতিবিদদের প্রতিনিধি দলকে গভর্নর জানান অমরনাথের তীর্থযাত্রীদের ওপর মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, অন্য ইস্যুর সঙ্গে এই বিষয়কে সম্পৃক্ত করে অপ্রয়োজনীয় ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। একটি বিশুদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে এমন সব ইস্যু গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে যার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। সেকারণেই ভীতি ছড়াচ্ছে’।