১৩ আগস্টের আগেই যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তি চুক্তি?

যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান-এর মধ্যকার নতুন ধাপের শান্তি আলোচনা শনিবার (৩ আগস্ট) শুরু হচ্ছে। কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত অষ্ট্রম ধাপের এই আলোচনাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যা দিয়েছেন কর্মকর্তারা। তাদের বিশ্বাস এই আলোচনা শেষে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশটি থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী ১৩ আগস্টের আগে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে দুই পক্ষ।দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের একাংশ

১৮ বছর ধরে চলা আফগান যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে গত বছর থেকে দোহায় আলোচনা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান প্রতিনিধিরা। এ পর্যন্ত সাত ধাপে দুই পক্ষের আলোচনা চললেও কোনও শান্তি চুক্তির ঘোষণা আসেনি।

নতুন ধাপের আলোচনায় অংশ নিতে শুক্রবার রাতে দোহায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদ। এদিন তিনি টুইটারে লেখেন, তালেবান-এর সঙ্গে আলোচনা আবারও শুরু করতে দোহায় পৌঁছেছি। আমরা একটি শান্তি চুক্তির চেষ্টা করছি, প্রত্যাহার চুক্তি নয়। তিনি লেখেন শান্তি চুক্তিই প্রত্যাহার কার্যকর করবে। আফগানিস্তানে আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) উপস্থিতি শর্তাধীন আর কোনও প্রত্যাহারও হবে শর্তাধীন। আমরা একটি ভালো চুক্তির জন্য প্রস্তুত।

আলোচনা বিষয়ে অবগত দুটি সূত্রের বরাতে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তালেবান এর কাছ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ক একটি চুক্তি ১৩ আগস্টের আগেই স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে আফগানিস্তানে ২০ হাজার বিদেশি সেনা রয়েছে। এদের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রের। আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, সহায়তা ও পরামর্শের জন্য ন্যাটো নেতৃত্বাধীন একটি মিশনের অধীনে এই সেনা উপস্থিতি রয়েছে দেশটিতে।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনে আফগানিস্তানে উৎখাত হয় তালেবান সরকার। তারপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আফগান যুদ্ধ অবসানের ঘোষণা দিলেও গত কয়েক বছরে দেশটিতে তালেবান গোষ্ঠীর হামলা তীব্র হয়েছে।