দেশে ফিরেছেন সেই মার্কিন গায়ক

সুইডেনে এক হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া বিখ্যাত মার্কিন র‍্যাপার আসাফ রকি দেশে ফিরেছেন। তাকে গ্রেফতারের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। সুইডেনের কাছে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন স্বয়ং মার্কিন মোগলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তাকে মুক্তি না দেয়া হলে স্টকহোমকে ‘খারাপ পরিণতি’ বরণের হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। স্টকহোম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন রকি।noname
সুইডিশ বিচার বিভাগের প্রকাশিত চিঠির বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, রকি জুন মাসে স্টকহোমে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন। পরে সেই ব্যক্তিকে আঘাতের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাপার আসাফ রকি ওরফে রাকিম মেয়ার্সের বিরুদ্ধে হামলা মামলার শুনানি শুরু হয়েছিলো স্টকহোমে। তখন তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। র‍্যাপারের আইনজীবী স্লোবোদান জোভিসিক আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি আত্মরক্ষার্থে ‘হাতাহাতি’ করেছিলেন। এ ঘটনায় গত ৩ জুলাই থেকে কারা হেফাজতে ছিলেন আসাফ ও তার দুই সহযোগী।

শুক্রবার এ বিখ্যাত র‍্যাপার কারাগার থেকে মুক্তি পেলে টুইটারে পোস্ট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘এটি একটি রকি সপ্তাহ, আসাফ দেশে ফিরে আসো।’

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও এনবিসি নিউজের অন্যতম মালিক আফটনব্রাডেট সুইডিশ বিচার বিভাগের প্রতি রকির মুক্তি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট ও’ব্রিয়েন এক চিঠিতে লিখেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইডেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ‘খারাপ পরিণতি’ এড়াতে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান চায় ওয়াশিংটন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং ফোন করে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেনকে জানিয়েছিলেন,  বিশেষভাবে র‍্যাপার রকিকে জামিনে মুক্ত করা হোক। কিন্তু জবাবে লোফভেন জানান, ‘সুইডেনে বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে না প্রশাসন। র‍্যাপার বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পাবেন না। কারণ এখানে বিচার বিভাগ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত।’

দীর্ঘ শুনানির পর শুক্রবার স্টকহোম আদালতের বিচারক রকিকে মুক্তি দেন। আদালত তাকে সাময়িক সময়ের জন্য দেশত্যাগের অনুমতি দিয়েছেন। তবে এ মামলার চূড়ান্ত রায় হবে ঘোষণা হবে ১৪ আগস্ট।

রকির মুক্তির দাবিতে বিনোদন জগতের বিখ্যাত তারকারা তখন মিছিল করেছিলেন। কিম কার্দাশিয়ান ওয়েস্ট, জাস্টিন বিবার, পোস্ট ম্যালোন এবং শন মেন্ডেজের মতো বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বরা তার মুক্তি দাবি করেছিলেন।