ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে ‘কালো দিন’ হিসেবে পালন করছে পাকিস্তান

জম্মু-কাশ্মিরে বর্বরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে পুরো পাকিস্তান ও নিয়ন্ত্রণরেখার উভয় পাশে ভারতের স্বাধীনতা দিবসটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করছে পাকিস্তান। বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি জানিয়েছেন, ১৫ আগস্টকে কালো দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার দেশ। কাশ্মির ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে।  

Captur

সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত। এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। বুধবার (৭ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

পরে আর এক বৈঠকে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি বলেন, কাশ্মিরের সহিংসতা থেকে বিশ্বের মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিতে চায় ভারত। তিনি বলেন, এমনকি ভারতীয় নাগরিকরাও এখন কাশ্মিরে ভারতের ‘অবৈধ’ পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন।

কুরেশি বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করবে ভারতের সিদ্ধান্ত ভুল। তিনি বলেন, মোদির সিদ্ধান্তে হুরিয়াতসহ কাশ্মিরের অন্য নেতাদের এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, কাশ্মিরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভারতকে কারফিউ তুলে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।

আজাদ কাশ্মির সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, আজকের দিনে নিয়ন্ত্রণরেখার উভয় পাশে কাশ্মিরের শহর ও সব শহরে ভারত-বিরোধী র‌্যালি হবে। এটিই দিনের বড় কর্মসূচি। মিরপুর জেলা কোর্ট চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে তা শহরের বড় বড় সড়ক প্রদক্ষিণ করবে।

জনগণকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে লাহোরের র‌্যালিতে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার। তিনি তাদের বলেছেন, দেখিয়ে দিন পাকিস্তান ও কাশ্মিরের মানুষ অবিচ্ছেদ্য।