পাকিস্তানকে পারমাণবিক হামলার পরোক্ষ হুমকি ভারতের

ভারত দাবি করেছে, যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দিলে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে ‘প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না’ বলে এখনও তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে আগামী দিনে এই নীতির বদল ঘটতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি হুমকি দিয়েছেন, ভারত ভবিষ্যতে এই প্রতিশ্রুতি রাখবে কিনা, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

noname

৩৭০ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ‘চিরবৈরী প্রতিবেশী’ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হচ্ছে ভারতের। ইসলামাবাদ এরইমধ্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা কাশ্মিরিদের জন্য তাদের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করবে। এমনকি যুদ্ধের জন্য পাকিস্তান ও সে দেশের সেনাবাহিনী প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই ধারাবাহিকতায় রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে ‘পরোক্ষভাবে’ পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৯৮ সালের মে মাসে দুই দফায় রাজস্থানের পোখরানে ৫টি পারমাণবিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ভারত। শুক্রবার প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর স্মরণে সেই পোখরানে সেনা মহড়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ। সেখান থেকে ফিরে তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘ভারতকে পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত করতে বাজপেয়ীর দৃঢ় প্রতিজ্ঞার সাক্ষী এই পোখরান। একই সঙ্গে তার প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার নীতিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন তিনি। এখনও যথাযথভাবে সেই নীতি মেনে চলছে ভারত। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।’

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত-পাকিস্তান তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে কাশ্মির ইস্যুতে। গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কাশ্মির সীমান্তে চলছে টানটান উত্তেজনা। একইসঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করেছে পাকিস্তান।