রাশিয়াকে জি সেভেন-এ ফেরানোর দাবি ট্রাম্পের

ফ্রান্সের উপকূলীয় বিয়ারিতজ শহরে জি সেভেন সম্মেলনে ফের উত্তাপ ছড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে রাশিয়াকে ফের শিল্পোন্নত দেশগুলোর এ জোটে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলেন তিনি। নিজের দাবিতে নাছোড়বান্দা ট্রাম্পকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন উপস্থিত জি সেভেন-এর অন্য বেশিরভাগ সদস্য দেশগুলোর নেতারা। সরাসরি ট্রাম্পের দাবি নাকচ করে দেন তারা।noname
জি সেভেন-এর পূর্বনাম ছিল জি এইট। মস্কো কর্তৃক ক্রিমিয়া দখলের পর ২০১৪ সালে সংগঠনটি থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর এটি জি-৭ নামে পরিচিতি পায়। তবে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই রাশিয়াকে ফের জি সেভেন-এর অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছেন। শনিবারের নৈশভোজেও এ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করেন তিনি।

ট্রাম্পের দাবির জোরালো বিরোধীতা করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক। সেখানে উপস্থিত থাকা একজন কূটনীতিক দ্য গার্ডিয়ান-কে জানান, ট্রাম্প রাশিয়াকে জি সেভেনে ফেরানোর দাবি তোলার পর বিষয়টি নিয়ে বিশ্বনেতাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি দেশগুলোর নেতারা জি সেভেন-কে একটি পরিবার, একটি ক্লাব তথা উদার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি সম্প্রদায়ে পরিণত করার ওপর জোর দেন। তারা বলেন, রাশিয়া কোনওভাবেই জি সেভেন-এর সদস্য হতে পারে না। কেননা দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব মূল্যবোধ ধারণ করেন না।

রাশিয়াকে ফেরানোর দাবিতে অবশ্য একেবারেই নিঃসঙ্গ ছিলেন না ট্রাম্প। অন্য দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ইতালির প্রধানমন্ত্রী গিউসেপ কন্তে তার দাবির পক্ষে অবস্থান নেন। জি সেভেন-এর গত সম্মেলনেও ট্রাম্পের এমন দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিল ইতালি।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে ট্রাম্পকে জিতিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বহু পুরনো। ট্রাম্প মনে করেন, ইরান, সিরিয়া ও উত্তর কোরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে জি সেভেন-এর গ্রুপ আলোচনায় পুতিনের থাকা উচিত।

ক্রিমিয়া দখলের পর রাশিয়াকে বাদ দেওয়ায় জি সেভেন-এর পরিসর ছোট হয়ে গেছে বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স।