কাশ্মিরে স্কুল খুললেও অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা

কাশ্মির উপত্যকার উচ্চ বিদ্যালয়গুলো ২৮ আগস্ট খুলে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়নি। সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পূর্বে আরোপিত বিধিনিষেধগুলো প্রত্যাহার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিদ্যালয়গুলোতে কেবল সীমিত সংখ্যক কর্মচারীকে উপস্থিত হতে দেখা গেছে।kshmir-school

চলতি বছরের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় জম্মু-কাশ্মির পুনর্বিন্যাস বিল। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। আস্তে আস্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করলেও সেখানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি। 

কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চ বিদ্যালয়গুলো আজ (২৮ আগস্ট) সকালে খুলেছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সীমিত সংখ্যক কর্মচারীদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এরআগে জম্মু-কাশ্মিরের তথ্য ও জনসংযোগ পরিচালক সেরিশ আসগর ২৭ আগস্ট (গতকাল) বলেন, ‘কাশ্মির উপত্যকার যে সব এলাকায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে, সেসব এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়গুলো আগামীকাল (২৮আগস্ট) থেকে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা বিভাগ।’

এদিকে কাশ্মির উপত্যকার ৮১টি পুলিশ স্টেশন এলাকাজুড়ে জনগণের চলাচলের ওপর জারি বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফ করেছেন কাশ্মির শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ইউনিস মালিক। তিনি গতকাল (২৭ আগস্ট) দাবি করেন, উপত্যকার ৩০৩৭টি প্রাথমিক ও ৭৭৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের উপস্থিতির তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, ‘অগ্রগতিমূলক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অধিকাংশ এলাকার টেলিফোন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ উপত্যকার যোগাযোগ বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।’