কাশ্মিরই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি: পাকিস্তান

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের চলমান অস্থিরতাই বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র বিষয় বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, পাকিস্তান সবসময়ই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তবে ভারতীয় নেতারা কখনোই তা চাননি।

e64667e11820677cb70c3f95ad65bb62-5d641b96637c0

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত-পাকিস্তানের তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি সংঘটিত হয়েছে কাশ্মির ইস্যুতে। গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কাশ্মির সীমান্তে চলছে টানটান উত্তেজনা। একইসঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করেছে পাকিস্তান।

মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, জাতিসংঘের নিয়ম অনুসারে কাশ্মির প্রস্তাবই এখন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র ইস্যু। তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে অংশ নিতে জেনেভা যাবেন।  

এরে আগে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মিরে ভারতের পদক্ষেপের বিরোধিতায় একাত্ম প্রকাশ করে পাকিস্তানিদের রাজপথে নামার আহ্বান জানান। এর টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি চাই কাশ্মিরিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সব পাকিস্তানি একত্রিত হোক। তিনি বলেন, ‘কাশ্মিরিদের আমরা বলতে চাই যে, আমরা তোমাদের পাশে আছি।’

পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে ইমরান বলেন, ‘প্রথমে আমি কাশ্মিরিদের সঙ্গে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। আমি নিজেকে কাশ্মিরের দূত হিসেবে ঘোষণা করলাম। যেসব রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে তাদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণেও কাশ্মির ইস্যু তুলে ধরব’।