আটক ব্রিটিশ ট্যাংকারের ৭ নাবিককে মুক্তি দিলো ইরান

জুলাইয়ে আটক ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকারের সাত নাবিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান। তারা জানায় হরমুজ প্রণালী থেকে আটক করা সুইডিশ মালিকানার ওই ট্যাংকারের ২৩ নাবিকের সাতজনকে মানবিক বিবেচনায় মুক্তি দেওয়া হয়।

_108608649_mediaitem108608645

ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা চলার মধ্যে জুলাইতে উপসাগরীয় এলাকা থেকে ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার স্টেনা ইম্পারো আটক করে ইরান। ওই সময়ে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই জাহাজ পরিবহন রুটে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে তেহরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ইরানের একটি মাছ ধরার নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর ব্রিটিশ ট্যাংকারটি আটক করা হয়। পরে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, আটকের সময় তাদের জাহাজটি ওমানের জলসীমায় ছিল।

মুক্তি পাওয়া সাত নাবিকের পাঁচজন ভারতীয়, একজন লাতভিয়ান এবং একজন ‍রুশ। ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, তারা ইতোমধ্যে ট্যাংকার ত্যাগ করেছেন।  বাকি ১৬ নাবিকের মধ্যে ১৩ জন ভারতীয়, দুইজন রুশ ও একজন ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছেন।  

বুধবার ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ের মুখপাত্র আব্বাস মৌসাভি বলেন, জাহাজের ক্যাপ্টেনেই ওই সাত নাবিককে পছন্দ করে। তিনি বলেন, ওই সাত নাবিক মুক্তি পেয়েছেন এবং নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। মানবাধিকার নীতির প্রতি সম্মান রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান।

মৌসাভি বলেন, নাবিক ও ক্যাপ্টেনদের সঙ্গে ইরানের কোনও সমস্যা নেই। এই জাহাজটি নিয়ম ভঙ্গ করেছে বলেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

স্টেনা বাল্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের সাত নাবিককে মুক্তি দেওয়ায় আমরা খুবই খুশি। তারা শিগগিরই পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন।’ ইরানের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইরানের দাবি, ওই জাহাজ আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ভঙ্গ করেছিল। স্টেনা ইমপেরো নামে  ট্যাংকারটি গত ১৯ জুলাই   আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের সংযোগকারী হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী তা আটক করে।  

যুক্তরাজ্য জানায়, তারা ওই ট্যাংকারের সহায়তায় একটি নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠিয়েছিলো কিন্তু সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। এরপর থেকে স্টেনা ইমপেরোকে ইরানি বন্দর বান্দার আব্বাসেই আটক রাখা হয়েছে।