সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে বন্দি বিনিময় রাশিয়া ও ইউক্রেনের

পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে বন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই ৩৫ জন করে বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালেই এ প্রক্রিয়া শুরু হলেও দীর্ঘ সমঝোতা প্রক্রিয়ার ফলে বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি বিলম্বিত হয়। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।12
শনিবার মস্কো ও কিয়েভে অবতরণ করে মুক্ত বন্দিদের বহনকারী বিমান। প্রথম দফার এই বন্দি বিনিময়কে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। রাজধানী কিয়েভে আগত মুক্তিপ্রাপ্তদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রথম দফায় মুক্ত মানুষগুলোকে পেয়েছি।

রাশিয়া কর্তৃক দখলকৃত ইউক্রেনের ভূখণ্ড ক্রিমিয়াকে পুনরুদ্ধারেরও অঙ্গীকার করেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি। ক্রিমিয়াকে ‘আমাদের ভূখণ্ড’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ করতে আমাদের সব পদক্ষেপ নিতে হবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ক্ষেত্রে এই বন্দি বিনিময় একটি ভালো পদক্ষেপ হতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ইউক্রেন রাষ্ট্রের। তবে রাশিয়া বরাবরই পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট দেশটিকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। এক পর্যায়ে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় মস্কো। এ সময় রুশপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সংঘাতে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।