মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নাসা

ভারতের চন্দ্রাভিযান শতভাগ সফল না হলেও দেশটির প্রচেষ্টা নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। ইতোমধ্যে মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। শনিবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে নিজেদের এমন আগ্রহের কথা জানায় সংস্থাটি।noname
টুইটে বলা হয়, ‘মহাকাশ খুবই চ্যালেঞ্জিং জায়গা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইসরো-র (ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা) চন্দ্রযান ২ অবতরণ প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি। আপনারা আমাদের উৎসাহিত করেছেন। আশা করি ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণায় আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।’

চন্দ্রাভিযানের আগেই ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল, চন্দ্রযান ২-এর অভিযান অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। আগের অভিযানগুলোর তুলনায় এটি অনেক বেশি উন্নত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখনও কোনও অভিযান হয়নি। সেখানেই কাজ করার কথা ছিল চন্দ্রযান ২-এর।

গত ২ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান ২-এর অরবিটারের সঙ্গে সফলভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় ল্যান্ডার বিক্রমের। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলেও চাঁদের মাটি থেকে ২ দশমিক ১ কিলোমিটার ওপরেই বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরো-র।

শুক্রবার নাসা জানিয়েছে, গত ৬ দশকে মাত্র ৬০ শতাংশ চন্দ্রাভিযান সফল হয়েছে। গত বছর ইসরায়েলের চন্দ্রাভিযানও সফল হয়নি। ইসরো-র দাবি, তাদের অভিযান ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সফল হয়েছে। ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও কাজ করবে অরবিটার। ইসরো চেয়ারম্যান বলেন, ‘অভিযানের প্রতিটি ধাপের সাফল্যের পর্যালোচনা হয়েছে। শতভাগের কাছাকাছি সফল হয়েছে মিশন।’ অরবিটারের আয়ু এক বছর ভাবা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত জ্বালানি থাকায় সেটি সাড়ে সাত বছর চাঁদের কক্ষপথে থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরোর প্রধান ড. কে শিবন। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।