পাকিস্তানের আচরণের ওপর নির্ভর করছে কাশ্মিরের ভবিষ্যৎ: ভারত

কাশ্মিরে ভারত সরকার আরোপিত যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি পুরোপুরিভাবে পাকিস্তানের ওপর নির্ভর করছে বলে দাবি করেছে দিল্লি। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল দাবি করেন, সীমান্তের ওপার থেকে উসকানি বন্ধ হলেই উপত্যকায় আর বিধিনিষেধের প্রয়োজন থাকবে না।

ভারত ও পাকিস্তানের পতাকা
৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় একটি বিলও। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপন্থী ও ভারতপন্থী রাজনৈতিক নেতাকে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার পর শনিবার প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অজিত দোভাল। কাশ্মির পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করতে। তবে তা নির্ভর করছে পাকিস্তানের আচরণের ওপর। উপত্যকাকে অশান্ত করতে তারা প্রতিনিয়ত উসকানি দিয়ে চলেছে।’

কাশ্মিরে ৩৭০ ধারা রদ ও রাজ্যটিকে দু’টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করার কথা ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘যা অনুমান করেছিলাম কাশ্মিরের অবস্থা তার থেকে অনেক ভালো। আমি সেখানে দু’সপ্তাহ ধরে থেকে বুঝেছি উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষই ৩৭০ ধারা রদের পক্ষে।’

একদিকে যখন ভূস্বর্গে শান্তির কথা বলছেন দোভাল, তখন জম্মু-কাশ্মিরে বন্দি করা হয়েছে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে। কেন এই বিপরীতধর্মী আচরণ সে ব্যাপারে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘অঞ্চলকে শান্ত রাখতেই এই পদক্ষেপ। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মিরে রাজনৈতিক কার্যকলাপ চললে তার সুযোগ নিতে পারে জঙ্গিরা। তবে, কবে তাদের মুক্ত করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য প্রশাসনই।’